Advertisement
Advertisement

হেনস্তা চলছেই, ইমরানের আমলে ইসলামাবাদে অসহায় ভারতীয় কূটনৈতিকরা

দেরি করে আসছে গ্যাস, কেটে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন।

 Indian diplomats harassed in Pakistan
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:December 22, 2018 12:16 pm
  • Updated:December 22, 2018 2:05 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী হয়েই ভারতেকে শান্তির বার্তা দিয়েছিলেন ইমরান খান। ভারতীয় শিখদের জন্য কর্তারপুর করিডর খুলে দেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যেই সামনে এল পাকিস্তানের আসল রূপ। ইমরান সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইসলামাবাদে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের চূড়ান্ত অসহযোগিতা করছে প্রশাসন। অভিযোগ, ভারতীয় অফিসারদের বাড়িতে দেরি করে আসছে গ্যাস। কেটে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেট কানেকশন। ভারতীয়দের চূড়ান্ত হেনস্তার চেষ্টা করছে ইমরানের প্রশাসন। তা শুনেই নড়চড়ে বসল নয়াদিল্লি প্রশাসন। খুব তাড়াতাড়ি এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারে বিদেশমন্ত্রক।  

[আবার বিয়ে করছেন পুতিন! গুঞ্জন আন্তর্জাতিক মহলে]

১৯৬১, ভিয়েনা সম্মেলনে সম্পর্ক ভাল রাখতে দুই দেশে কূটনীতিবিদ রাখার চুক্তি হয়। আন্তর্জাতিক মঞ্চে গতবছরও ভারত সেই চুক্তিতে সায় দিয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের গোয়েন্দারাও বারবার পাক বন্দিদের খবরের জন্য চাপ দিচ্ছেন ভারতীয় অফিসারদের। বেড়েছে নজরদারিও। প্রত্যেক মুহূর্তে ভারতীয় অফিসারদের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয়। গতমাস থেকে অফিসারদের বাড়িতে উটকো লোকজন আসার সংখ্যাও বেড়েছে। তাতে বেশ বিরক্ত তাঁরা। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসার পর ভারতীয় কূটনীতিবিদদের উপর এই ধরনের হেনস্থা ক্রমশ বাড়তে শুরু করার খবর আগেও সামনে এসেছিল। এদিকে শুক্রবার নয়াদিল্লিতে পাকিস্তানের হাইকমিশনার সোহেল মহম্মদ, হজরত নিজামুদ্দিন আওলিয়া দরগায় গিয়ে চাদর চড়ান। কিন্তু ইসলামাবাদে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর দু’দেশের সম্পর্কে যে আরও অবনতি হবে, তা এখন থেকে আন্দাজ করা যাচ্ছে।

Advertisement

[বিশ্বের প্রভাবশালী তরুণের তালিকায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত তিন প্রবাসী]

কাশ্মীর নিয়ে বারবার আন্তর্জাতিক মঞ্চে সওয়াল তুলেছে পাকিস্তান। দু’দেশের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করার আবেদনও জানিয়েছে পাকিস্তান। কিন্তু পাক দাবি উড়িয়ে ভারত জানিয়েছে, সীমান্তে সন্ত্রাস ও যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন বন্ধ না হলে পাকিস্তানের সঙ্গে একই মঞ্চে আলোচনায় বসবে না ভারত। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হয়ে আসার পর ভারতকে শান্তির বার্তা দিয়েছেন। ভারতের শিখ পুন্যার্থীদের জন্য কর্তারপুরে উৎসবের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার ও পাঞ্জাবের কংগ্রেস মন্ত্রী নভজ্যোৎ সিং সিধুকে। সেখানে গিয়ে পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরেন  সিধু। তা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক। কাশ্মীরে যখন পরপর সেনারা শহিদ হচ্ছেন, প্রশ্ন ওঠে তখন কীভাবে ওদেশের সেনাপ্রধানকে জড়িয়ে ধরেন তিনি! এবার ইমরান খানের সরকার যেভাবে ভারতীয় কূটনীতিবিদদের হেনস্তা শুরু করেছে, তাতে দুই দেশের অশান্তি বাড়ল।   

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement