Advertisement
Advertisement

কুলভূষণ ইস্যুতে ফের মুখোমুখি ভারত-পাক, কড়া বার্তা দিল্লির

পাক প্রতিনিধির সঙ্গে করমর্দনও করলেন না ভারতের প্রতিনিধি৷

 Indian deplomet didn't shake hand with Pak AG
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 19, 2019 11:27 am
  • Updated:February 19, 2019 11:27 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর ক্রমশ অবনতির দিকে এগোচ্ছে ভারত-পাক সম্পর্ক৷ এহেন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে হেগ-এ শুরু হয়েছে পাকিস্তানে বন্দি ভারতীয় নাগরিক কুলভূষণ যাদবের মামলার শুনানি৷ আর সেই আন্তর্জাতিক আদালতে পাকিস্তানের অ্যাটর্নি জেনারেল মনসুর খানকে সু-কৌশলে এড়িয়ে গেলেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্ম-সচিব দীপক মিত্তল। জানা গিয়েছে, আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি শুরুর আগে পাক অ্যাটর্নি জেনারেল করমর্দন করতে আসেন যুগ্ম-সচিব দীপক মিত্তলের সঙ্গে৷ এবং অত্যান্ত ভদ্রভাবে মনসুর খানের সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ভারতীয় এই আমলা৷ করমর্দনের পরিবর্তে মনসুর খানকে নমস্কার করেই সৌজন্য বিনিময় করেন তিনি৷

[ভারতীয় সেনার পরাক্রমে নাস্তানাবুদ জইশ, নয়া কৌশল জঙ্গিদের ]

Advertisement

সোমবারের শুনানিতে ভারত অভিযোগ করে, আন্তর্জাতিক আদালতকে নিজেদের প্রচারণায় অপব্যবহার করছে পাকিস্তান। প্রথমদিনের বক্তব্যে ভারত মূলত দু’টি বৃহত্তর ইস্যু তুলে ধরেছে৷ এক, ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন করে পাকিস্তান কুলভূষণকে কনসুলার অ্যাকসেস অর্থাৎ, ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেয়নি৷ দুই, রেজলিউশন প্রক্রিয়া। ভারতের পক্ষে আদালতে সওয়াল করছেন প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল হরিশ সালভে। তিনি বলেন, “এটি এমন একটি দুর্ভাগ্যজনক মামলা, যেখানে একজন নির্দোষ ভারতীয়র জীবন বিপন্ন।” কুলভূষণকে কনসুলার অ্যাকসেস না দিয়ে এখনও জেলে রাখার বিষয়টিকে বেআইনি ঘোষণার দাবি জানান তিনি। সালভে বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টিই পাকিস্তানের সাজানো এবং বাস্তবসম্মত নয়। পাকিস্তান যে একে প্রচারণার কাজে ব্যবহার করছে তা নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। অবিলম্বে কুলভূষণকে কনসুলার অ্যাকসেস দিতে পাকিস্তান বাধ্য।’’

[ইমরানের ‘নয়া পাকিস্তানে’ সাংবাদিকতারও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে জঙ্গি হাফিজের সংগঠন]

পাকিস্তানের পালটা দাবি, কুলভূষণ যাদবকে তারা গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ২০১৬-তে বালুচিস্তান থেকে গ্রেপ্তার করেছে। কুলভূষণ ইরান হয়ে বেআইনিভাবে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছিলেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানে গুপ্তচরবৃত্তি। কিন্তু আন্তর্জাতিক আদালতের দশ বিচারপতির বেঞ্চের সামনে সত্যিটা তুলে ধরে ভারত। ভারতের আইনজীবীরা পাকিস্তানের এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে জানিয়ে দেন, কুলভূষণ যাদবকে ইরান থেকে অপরহরণ করা হয়। ব্যবসার কাজে তিনি ইরান গিয়েছিলেন তার যথেষ্ট প্রমাণ ভারতের হাতে রয়েছে। হরিশ সালভে এদিন আন্তর্জাতিক আদালতে বলেন, কুলভূষণকে কনসুলার অ্যাকসেস দেওয়ার জন্য নয়াদিল্লি ১৩ বার আবেদন জানিয়েছে এবং ইসলামাবাদ প্রতিবারই তা অগ্রাহ্য করেছে। তিনি আরও বলেন, কুলভূষণকে গ্রেপ্তারের প্রায় এক মাস পর পাকিস্তান এফআইআর করে।

[পাক সেনা এবং বিদেশ মন্ত্রকের ওয়েবসাইট হ্যাক, ভারতকে দূষছে ইমরানের দেশ]

উল্লেখ্য, ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগ ২০১৬-তে কুলভূষণকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তান৷ ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন এই আধিকারিককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় পাকিস্তানের সেনা আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছে ভারত। ২০১৭-র মে মাসে প্রথম দফার শুনানিতে আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের প্রাণদণ্ডের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। সোমবার অর্থাৎ ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হেগ-এর পিস প্যালেসে শুরু হয়েছে এই মামলার দ্বিতীয় দফার শুনানি৷ চলবে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত৷ প্রথম দিন ভারতের বক্তব্য শোনেন আনর্জাতিক আদালতের দশ বিচারপতির বেঞ্চ৷ ১৯ তারিখ সেখানে নিজেদের বক্তব্য পেশ করবে পাকিস্তান৷ ২০ ও ২১ তারিখ ফের ভারত ও পাকিস্তান পর্যায়ক্রমে তাদের বক্তব্য জানাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement