সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাভা সমুদ্রে বিমান দুর্ঘটনায় বিমানকর্মী-সহ ১৮৯ জন যাত্রীরই মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওড়ার ১৩ মিনিটের মধ্যে মাঝ-আকাশ থেকে উধাও হয়ে যায় লায়ন এয়ার JT610 বিমানটি। জাকার্তা থেকে সুমাত্রা দ্বীপের পঙ্কল পিনাংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল যাত্রীবাহী এই বিমান। তখনই জাভা সমুদ্রে ভেঙে পড়ে বিমানটি। একথা নিশ্চিত করেছে ইন্দোনেশিয়ার সরকার। জানা গিয়েছে, বিমানের পাইলট ছিলেন এক ভারতীয়। দিল্লির ময়ূর বিহারের বাসিন্দা ভাব্যে সুনেজা। গত সাত বছর ধরে ওই বিমান সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় তাঁরও মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা।
#UPDATE: Indonesian plane with 189 aboard crashes into the sea near Jakarta, wreckage found, reports Reuters
— ANI (@ANI) October 29, 2018
Our deepest condolences on the tragic loss of lives in the Lion Air Plane crash, off the coast of Jakarta today. Most unfortunate that Indian Pilot Bhavye Suneja who was flying JT610 also lost his life…Embassy is in touch with Crisis Center and coordinating for all assistance. pic.twitter.com/56lbxGSoJe
— India in Indonesia (@IndianEmbJkt) October 29, 2018
সোমবার সকাল ৬টা ২০ নাগাদ যাত্রীদের নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে উড়েছিল বিমানটি। গন্তব্যে পৌঁছনোর কথা ছিল ঠিক এক ঘণ্টা পর। কিন্তু ওড়ার ১৩ মিনিট পর সকাল ৬টা ৩৩ মিনিট নাগাদ এয়ার-ট্রাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে আচমকাই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জানা যায়, সে সময় জাভা সাগরের কাছে ছিল বিমানটি। এরপরই তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুরু হয়ে যায় তল্লাশি। অবশেষে ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী এজেন্সির তরফে ইউসুফ লতিফ নিশ্চিত করে জানান, লায়ন এয়ার বিমান সংস্থার বিমানটি ভেঙে পড়েছে মাঝ সমুদ্রে। জাভা সাগরেই বিমানের সলিল সমাধি হয়েছে যাত্রীদেরও বলে আশঙ্কা। তবে ঠিক কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।
বিমানে পাইলট সুনেজার সঙ্গে কো-পাইলট হিসেবে ছিলেন হারভিনো এবং ছ’জন ক্রু মেম্বার। জানা গিয়েছে, ২০০৯ সালে বেল এয়ার ইন্টারন্যাশনালের তরফে লাইসেন্স পেয়েছিলেন সুনেজা। প্রথমে এমিরেটসের শিক্ষানবিশ ছিলেন। তারপর ২০১১ সালে যোগ দেন লায়ন এয়ারে। জাকার্তার ভারতীয় দূতাবাসের তরফে বিমান দুর্ঘটনার জন্য শোকপ্রকাশ করা হয়েছে।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার উদ্ধারকারী এজেন্সি আরও জানায়, একটি বোট বিমানটি জলে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেছে। এজেন্সির প্রধান মহম্মদ স্যাগি বলেন, “কেউ বেঁচে রয়েছেন বলে মনে হয় না। আমরা শুধু প্রার্থনা করতে পারি। এখনও নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ইতিমধ্যেই সমুদ্রের ৯৮ থেকে ১১৫ ফুট গভীর থেকে হেডফোন, লাইফ জ্যাকেটের মতো জিনিস খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। বিমানের সিট ও ধ্বংসাবশেষও মিলেছে। আর তাতেই দুর্ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।” শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধারকাজও। হেলিকপ্টারের মাধ্যমেও ঘটনাস্থলে নজর রাখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.