সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতীয় সেনার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir) ‘আফগানিস্তান’ (Afghanistan) হয়ে ওঠেনি। ব্রিটেন সংসদের সদস্য বব ব্ল্যাকম্যান ‘হাউস অফ কমন্স’-এ এক বিতর্কের সময় এভাবেই ভারতীয় সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন। দাবি করলেন, ভারতীয় সেনা না থাকলে তালিবানের হাতে আফগানিস্তানের যে দশা হয়েছে, সেই দশাই হত কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেরও।
ব্রিটেনের দুই এমপি ডেবি আব্রাহামস ও পাক বংশোদ্ভূত ইয়াসমিন কুরেশির প্রস্তাবে এদিন আলোচনা হয় জম্মু ও কাশ্মীরের মানবাধিকার প্রসঙ্গ। আর তখনই ব্ল্যাকম্য়ান এই কথা বলেন। ঠিক কী বলেছিলেন তিনি? তাঁর কথায়, ”আমাদের মনে রাখতে হবে কাশ্মীর উপত্যকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারে। জম্মুতে কিন্তু হিন্দুরাই বেশি। ঠিক যেমন লাদাখ মূলত বৌদ্ধ অধ্যুষিত। আর ঐতিহাসিক ভাবে এটাই সত্যি যে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, মহিলা ও শিশুরা উপত্যকায় দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।”
এরপরই আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ তুলে ব্ল্যাকম্যান বলেন, ”আফগানিস্তানে কী হচ্ছে আমরা দেখেছি। যদি কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হয়, যদি সেখানে কোনও রকম প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা না থাকে তাহলে জম্মু ও কাশ্মীরেরও একই অবস্থা হবে। ওখানকার গণতন্ত্রও বিপন্ন হবে। ভারতীয় সেনার জন্যই জম্মু ও কাশ্মীর তালিবানের দখলে থাকা আফগানিস্তানের মতো হয়ে যায়নি।” ওই গোটা অঞ্চলেই মুসলিম জঙ্গিরা নিয়মিত জঙ্গি হানা, খুন ও জবরদস্তি ধর্মান্তকরণ ঘটিয়ে শান্তি বিঘ্ন করে চলেছে বলে অভিযোগ করেন ব্ল্যাকম্যান।
২০১৯ সালের আগস্টে সংবিধানের ৩৭০ ধারা তুলে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করা হয়। এরপরই সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলতে থাকে পাকিস্তান। এমনকী, রাষ্ট্রসংঘেও একাধিক বার এমন অভিযোগ তুলেছে ইসলামাবাদ। ভারত বরাবরই দৃঢ়তার সঙ্গে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। পাকিস্তানকে এই ইস্যুতে সরাসরি সমর্থন করেনি ‘বন্ধু’ চিনও। ফলে ধোপে টেকেনি অভিযোগ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.