Advertisement
Advertisement

Breaking News

Bangladesh

৯০ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের নির্বাচন নিশ্চিত করবে ভারত! কেন বললেন হাসিনাপুত্র জয়?

দেশত্যাগের পর আপাতত ভারতেই রয়েছেন হাসিনা।

India will confirm Bangladesh election within 90 days, said Hasina's son Joy

হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:August 15, 2024 5:46 pm
  • Updated:August 15, 2024 5:46 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাপক গণ আন্দোলনের পর পদত্যাগ করে বাংলাদেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। তার পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছু দিন। হাসিনার পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে নানা জল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে। এর মাঝেই বাংলাদেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এই পরিস্থিতে একের পর এক ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়। এবার তিনি বললেন, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি নাকি ভারত নিশ্চিত করবে বলে আশা করছেন। 

এই মুহূর্তে আমেরিকার ওয়াশিংটনে রয়েছেন জয়। হাসিনা ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন তিনি। একের পর এক ভিডিও বার্তাও দিচ্ছেন। বুধবার এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাসিনাপুত্র জয় বলেন, “বাংলাদেশে সংবিধান সমুন্নত রাখার বিষয়ে কাজ করতে ভারতের প্রতি আমি আহ্বান জানাব। কারণ, এটা ঘটছে ভারতের দুয়ারে। আশা করব, বাংলাদেশে সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি নিশ্চিত করবে নয়াদিল্লি। একই সঙ্গে বিশৃঙ্খল জনতার শাসনের অবসান হবে। আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক প্রচার চালানো ও পুনর্গঠিত হতে দেওয়ার বিষয়টিও দেখতে হবে। আমি এখনও আত্মবিশ্বাসী, আমরা নির্বাচনে জয়ী হব। আমরা এখনও বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ছাত্র আন্দোলনে ‘গণহত্যা’! সমস্ত হত্যাকাণ্ডের বিচার এবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে

গত ৫ আগস্ট, সোমবার দুপুরে হাসিনার পদত্যাগের কথা জানান বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান। জানা যায়, মাত্র ৪৫ মিনিটের মধ্যে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন মুজিবকন্যা। তার পর তিনি আশ্রয় নেন ভারতে। আপাতত দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। বিশ্লেষকদের মতে, অন্তর্বর্তী সরকারও ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছে। ফলে হাসিনাপুত্র চান দেশে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করার ক্ষেত্রে ভারত হস্তক্ষেপ করুক। আলোচনা করুক অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে। কারণ ব্যবসা-বাণিজ্য, পণ্যের আমদানি-রপ্তানি নানা বিষয়ে ঢাকার সঙ্গে সহযোগিতা করে দিল্লি। সেদেশে বড় বিনিয়োগও রয়েছে ভারতের। ফলে দিল্লির সঙ্গে সহজে সম্পর্ক খারাপ করবে না এই নয়া সরকার। আর এর পর আওয়ামি লিগ যদি নির্বাচনে লড়াই করে কিংবা হেরেও যায় তাহলে বিরোধী দল হিসাবে টিকে থাকবে তারা। ফলে আগামিদিনে বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন খাতে বইবে তা সময়ই বলবে।            

[আরও পড়ুন: অস্থিরতার জের, আর্থিক সংকটে জেরবার বাংলাদেশে জিনিসপত্রের দাম ঊর্ধ্বমুখী

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement