Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাশিয়া ভ্যাকসিন

ভ্যাকসিন কিনতে আগ্রহী ২০টি দেশ, ভারত-সহ ৫ দেশে চূড়ান্ত ট্রায়াল, দাবি রাশিয়ার

কবে বাণিজ্যিকভাবে শুরু হবে ভ্যাকসিন তৈরি? বছরে কী পরিমাণ ভ্যাকসিন তৈরি হবে?

India to be involved in Sputnik V trials, says Russia
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 12, 2020 10:47 am
  • Updated:August 12, 2020 11:28 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্রমবর্ধমান করোনা আতঙ্কের মধ্যে গোটা বিশ্ব চাতক পাখির মতো তাকিয়েছিল ভ্যাকসিনের দিকে। মঙ্গলবার গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে প্রথম প্রতিষেধক বাজারে আনার দাবি করেছে রাশিয়া (Russia)। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রনায়ক ভ্লাদিমির পুতিন সাংবাদিক বৈঠক করে দাবি করেছেন, তাঁদের তৈরি ভ্যাকসিন করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী এবং এর তেমন কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। পুতিনের সেই দাবি প্রশ্নাতীত না হলেও, এই ভ্যাকসিনের চাহিদা কিন্তু তুঙ্গে। রাশিয়ার দাবি, ইতিমধ্যেই বিশ্বের ২০টি দেশ এই ভ্যাকসিন কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা পাঁচটি দেশে এর চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু করতে চায়।

রাশিয়ার প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ ফান্ডের (RDIF) আধিকারিক কিরিল দিমিত্রভ (Kirill Dmitriev) বলছেন, “ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের প্রতি প্রচুর দেশের ঝোঁক আমরা দেখতে পাচ্ছি। এখনও পর্যন্ত ২০টি দেশ থেকে প্রায় ১০০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির প্রস্তাব এসেছে।” দিমিত্রভের দাবি, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সম্মিলিতভাবে রাশিয়ার তৈরি এই ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ করছে। যাতে রাশিয়াকে ভ্যাকসিন তৈরির কৃতিত্ব দিতে না হয়। ওই আধিকারিকের দাবি, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তি করে বছরে প্রায় ৫০ কোটি ভ্যাকসিন তৈরির জন্য রাশিয়া প্রস্তুত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন আনল রাশিয়া, প্রয়োগ করা হল পুতিনকন্যার শরীরে]

যদিও এই ভ্যাকসিনটির চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল সম্পূর্ণ হয়নি বলে সূত্রের খবর। এই পর্যায়ে বিশ্বের বিভিন্ন পরিবেশ পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন বয়সের মানুষের উপর পরীক্ষা করা হয়। রাশিয়া জানিয়েছে, এই পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য মোট ৫টি দেশকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে নাম আছে ভারতেরও। বাকি চারটি হল, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, ব্রাজিল এবং ফিলিপিনস। দিমিত্রভ জানিয়েছেন, চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়ালের পর সেপ্টেম্বরেই এই ভ্যাকসিনের ব্যবসায়িক উৎপাদন শুরু হবে। এ বছরের শেষ পর্যন্ত ২০ কোটি টিকার ডোজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তৈরি হবে। রাশিয়ায় তৈরি হবে আরও ৩০ কোটি। এরপর থেকে বছরে ৫০ কোটি ডোজ তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন তাঁরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement