সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান থেকে বিতাড়িত শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বেশ কয়েকটি প্রকল্প স্থাপনে আফগানিস্তানকে সহায়তা করার পরিকল্পনা করেছে ভারত। পাকিস্তান তাদের বহিষ্কার করার পরই আফগান শরণার্থীদের প্রতি ভারতের এই সমর্থনের বিষয়টি জানা যাচ্ছে।
২০২৩ সালের শেষের দিক থেকে পাকিস্তান ও ইরান প্রায় ১০ লক্ষ আফগান শরণার্থীকে আফগানিস্তানে প্রত্যাবাসন করেছে। এদিকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার জানিয়েছে, শরণার্থীদের জমি বিতরণ শুরু করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে ভারত তাদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিল।
দীর্ঘ দিন ধরে আফগান শরণার্থীদের জন্য বিপুল অঙ্কের আন্তর্জাতিক অর্থসাহায্য এবং ত্রাণ পেয়েছে ইসলামাবাদ। কিন্তু ২০২১ সালে কাবুলে তালিবানের ক্ষমতা দখলের পরে সীমান্ত চিহ্নিতকরণ নিয়ে দুদেশের বিরোধ শুরু হয়। সেই সঙ্গে পাক সেনার সঙ্গে লড়াইয়ে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালিবান (টিটিপি)-কে কাবুলের মদতের অভিযোগ ঘিরেও দুতরফের টানাপোড়েন শুরু হয়। তারপর থেকেই শুরু হয় তাদের পাকিস্তান ছাড়া। এবং এই বিষয়টিকে ঘিরে কাবুল এবং ইসলামাবাদের মধ্যে বিরোধের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বুধবার তালিবান সরকারের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। দুবাইয়ের সেই বৈঠকের পরই তালিবানের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়, ভারতকে তারা ‘গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক সহযোগী’ হিসেবেই দেখছে। এই বৈঠকের পরই আফগানিস্তানকে আরও সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। যাকে কূটনৈতিক মহল ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হিসেবেই দেখছে।
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী ইশহাক দার আগামী মাসেই বাংলাদেশে আসছেন। বাংলাদেশকে ‘হারিয়ে যাওয়া ভাই’ হিসেবেও উল্লেখ করেছেন তিনি। যা নিয়ে সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। মনে করা হচ্ছে, এবার তাই আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে কাছে টানতে আগ্রহী ভারত। আর সেই কারণেই এই আর্থিক সহায়তার আশ্বাস। যা একদিকে তালিবানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ককে মজবুত করবে। অন্যদিকে পাকিস্তানের অস্বস্তি বাড়াবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.