ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত মার্কিন রিপোর্টকে তোপ দেগে প্রতিক্রিয়া দিল ভারত। গত বৃহস্পতিবার আমেরিকার স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। সেখানেই ভারতে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়। রিপোর্টের কথা টেনে এনে ভারতকে আক্রমণ করেন আমেরিকার (USA Report) বিদেশ সচিব অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সেই বক্তব্যকে উড়িয়ে দিয়েছে নয়াদিল্লি। ভারতের তরফে বলা হয়েছে, রিপোর্টে লিখিত তথ্য ভুল। এছাড়াও, আমেরিকায় পরপর বন্দুকবাজের হানার প্রসঙ্গ টেনে খোঁচা দিয়েছে বাইডেন প্রশাসনকে।
মার্কিন রিপোর্ট পেশ করার আগেই ভারতকে নিশানা করে ব্লিঙ্কেন (Anthony Blinken) বলেন, ভারতের ধর্মস্থানগুলি আক্রান্ত হচ্ছে। এই হামলার পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। তারপরেই প্রকাশ করা হয় ধর্মীয় স্বাধীনতার রিপোর্ট। সেখানেও একই কথা লেখা বলা হয়। আরেক মার্কিন আধিকারিক বলেছেন, ভারতীয় আধিকারিকরা ইচ্ছাকৃত ভাবে এই হামলা থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকেন। এই কথার তীব্র প্রতিবাদ করে শুক্রবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করা হয়। বলা হয়, সম্পূর্ণ ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে।
বিদেশমন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভোট ব্যাংকের রাজনীতি ব্যবহার করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের (India USA Relation) ক্ষেত্রে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। ভুল তথ্য এবং পক্ষপাতদুষ্ট মতামতের উপর ভিত্তি করে এই ধরণের রিপোর্ট তৈরি করা উচিৎ নয়। এই রিপোর্ট এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। ধর্মীয় সংস্কৃতি এবং মানবাধিকার রক্ষায় যথেষ্ট উদ্যোগী ভারত। সাম্প্রতিক কালে বারবার বন্দুকবাজের হানায় আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন মুলুক। সেই কথা টেনে খোঁচা দিয়ে ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক বলেছে, “আমেরিকার সঙ্গে আলোচনায় আমাদের দেশের সংস্কৃতির কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে জাতিবিদ্বেষের কারণে কিভাবে বারবার হামলা হয়েছে আমেরিকায়।”
Our response to media queries regarding the release of U.S. State Department 2021 Report on International Religious Freedom:https://t.co/zlwdjgzoOn pic.twitter.com/rBkJaVpxq5
— Arindam Bagchi (@MEAIndia) June 3, 2022
এর আগে ২০২০ এবং ২০২১ সালেও রিপোর্ট পেশ করেছিল মার্কিন (USA) ‘কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম’। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং জো বাইডেন উড়িয়ে দিয়েছিলেন এই দাবি। তবে এর আগেও হিজাব বিতর্কে মার্কিন সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। তখন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে করা বার্তা দেওয়া হয় আমেরিকার উদ্দেশ্যে। বলা হয়, হিজাব বিতর্ক একান্তই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে বিদেশের উসকানি মূলক মন্তব্য মেনে নেওয়া হবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.