সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল তুরস্ক। এবার তারই পালটা দিল ভারত। সিরিয়ায় কুর্দ বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তুরস্কের ফৌজী অভিযানের নিন্দা করল নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের তরকে এনিয়ে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ৭ দশক বাদে নতুন নজির, সাহিত্যে দেওয়া হল জোড়া নোবেল]
সদ্য উত্তরপূর্ব সিরিয়ায় মার্কিন মদতপুষ্ট কুর্দিশ বাহিনী ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস’-এর (এসডিএফ) বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তুরস্কের সেনা। এই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন পিস স্প্রিং’।আঙ্কারার দাবি, এসডিএফ-এর ‘ওয়াইপিজি’ সশস্ত্র বাহিনী তুরস্কে ‘পিকেকে’ জঙ্গি সংগঠনকে মদত দিয়ে আসছে। উল্লেখ্য, তুরস্কের কুর্দ জনবহুল এলাকা নিয়ে স্বাধীন কুর্দিস্তান গড়ার লড়াই চালিয়ে আসছে ‘পিকেকে’ বা কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি। এনিয়ে বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি জারি করে ভারতের বিদেশমন্ত্রক। সেখানে বলা হয়ছে, একতরফা অভিযান চালাচ্ছে তুরস্ক। তাদের উচিত পড়শি দেশের সার্বভৌমত্বকে সম্মান প্রদর্শন করা। আঙ্কারার এহেন পদক্ষেপে ওই অঞ্চল আরও অস্থির হয়ে উঠবে। এছাড়াও, ধাক্কা খাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই। পাশাপাশি, সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ করা নিয়ে পাকিস্তানের সমর্থন করায় তুরস্ককে চাপে রাখল ভারত। সিরিয়ায় কুর্দ বিদ্রোহীদের নিয়ে আঙ্কারার মাথাব্যথার কথা দিল্লি ভালই জানে। ফলে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসিপ তায়েপ এরদোগানের দুর্বল জায়গায় চাপ দিয়ে কূটনৈতিক স্তরে এগিয়ে থাকতে চাইছে মোদি সরকার।
এদিকে, এসডিএফ-এর মুখপাত্র মুস্তাফা বালি জানিয়েছেন, তাদের দখলে থাকা এলাকায় তুরস্কর বিমান ও গোলন্দাজ বাহিনী লাগাতার হামলা চালাচ্ছে। তুরস্কের শহর সেলানপিনার লোগোয়া উত্তরপূর্ব সিরিয়ার শহর রাস আল-আইনে বেশ কয়েকটি প্রবল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। আপাতত ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। সমস্ত শক্তি দিয়ে আপাতত তুরস্কের আক্রমণ প্রতিহত করাই এখন তাদের কাছে জরুরি। এদিকে তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী মেভলাট কাভুসগলু সাফ বলেছেন, ‘সিরিয়ার মাটিতে জঙ্গিদের শেষ না করা পর্যন্ত থামবে না তুরস্কের বাহিনী। ‘
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে পশ্চিম এশিয়ায় নয়া সমীকরণ তৈরি করে সিরিয়া থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, সন্ত্রাস জর্জরিত দেশটিতে পরাজয় হয়েছে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের। তাই সে দেশে মোতায়েন মার্কিন সৈন্যদের ফেরত নিয়ে আসা হবে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে আমেরিকার প্রস্থানে সিরিয়ায় আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠবে রাশিয়া ও ইরান। আরও প্রভাবশালী হয়ে উঠবেন সিরিয়ান প্রেসিডেন্ট বাশার-আল-আসাদ।
[আরও পড়ুন: ক্রাইস্টচার্চ হামলা থেকে উদ্বুদ্ধ, লাইভ স্ট্রিমিং করে সিনাগগে ঢুকে গুলি জার্মান যুবকের]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.