সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকা বা জাপানের ফাঁদে পা দিয়ে চিনের বিরুদ্ধাচরণ করা উচিত নয় ভারতের। নয়াদিল্লিকে এভাবেই সতর্ক করে দিল চিনা সরকারি মিডিয়া। এমনটা করলে যে আদতে নয়াদিল্লিরই ক্ষতি, হাবেভাবে সে কথাও বুঝিয়ে দিয়েছে বেজিং।
চিনা সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, “ভারত মহাসাগরে চিনকে রুখে দিতে ওয়াশিংটন নয়াদিল্লিকে ব্যবহার করছে। অন্যদিকে টোকিও চাইছে নয়াদিল্লির সাহায্যে প্রশান্ত মহাসাগরে চিনের বিরোধিতা করতে। ভারত মনে করতে পারে এই সুযোগে চিনকে কূটনৈতিক চাপে রাখা যাবে। কিন্তু এগুলি ফাঁদ ছাড়া আর কিছুই নয়। একবার আমেরিকা বা জাপানের ফাঁদে পড়ে গেলে ভারতেরই বিপদ বাড়বে।”
কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সংবাদপত্রের সম্পাদকীয়তে ভারত-বিরোধী মনোভাব ব্যক্ত করে নয়াদিল্লিকে প্রবল চাপে রাখতে চাইছে বেজিং। সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, “সেই দেশই মহান হতে পারে যারা নিজেদের পেশিশক্তির উপর ভরসা রাখে। যে দেশ অন্যের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে মজবুত করে, তারা দুর্বল। ভারতের উচিত বিদেশি শক্তির দিকে না ঝুঁকে প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে উন্নয়ন যজ্ঞে সামিল হওয়া।” চিনা সংবাদপত্রের দাবি, এমনিতেও চিনকে কেউ রুখতে পারবে না, কিন্তু ভারত ও চিন একজোট হলে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবে।
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে টেলিফোনে মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট রেক্স টিলারসনের কথা হয়েছে সম্প্রতি। দুই দেশই একযোগে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে গভীর সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে একে অপরকে। ভারতের এই পদক্ষেপই চিনের চোখের বালি হয়ে উঠেছে। চিনা সংবাদপত্র নয়াদিল্লিকে কার্যত সতর্ক করে জানিয়েছে, চিনা রেলপথ, বন্দর ও একাধিক বৃহৎ হাইড্রো-ইলেকট্রিক প্রকল্প ভারতের সীমান্ত ছুঁয়ে ফেলেছে। তাই এই সময় বেজিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করার আগে দু’বার ভাবুক নয়াদিল্লি, কড়া বার্তা গ্লোবাল টাইমস-এর। চিনের উপদেশ, বেজিংয়ের বিরুদ্ধে না গিয়ে পাশে দাঁড়াক নয়াদিল্লি, তাহলেই দেশের মানুষ নিরাপদে থাকতে পারবেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.