Advertisement
Advertisement
কর্তারপুর করিডর

মিলেছে ইতিবাচক ইঙ্গিত, কর্তারপুর করিডর নিয়ে ভারতকে সহযোগিতার বার্তা পাকিস্তানের

এই করিডর নিয়ে ওয়াঘা সীমান্তে বৈঠক করলেন ভারত ও পাকিস্তানের প্রতিনিধিরা৷

Ind-Pak Kartarpur Corridor talks: Islamabad assures cooperation to Delhi
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 14, 2019 5:57 pm
  • Updated:July 19, 2019 12:59 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তারপুর করিডর নিয়ে দ্বিতীয় দফার বৈঠকে ভারতকে সম্পূর্ণ সহযোগিতার বার্তা দিল পাকিস্তান৷ বৈঠকে দিল্লির তরফে যে দাবিগুলি ইসলামাবাদের প্রতিনিধিদের কাছে পেশ করা হয়েছিল, তার অনেকগুলি মান্যতা পেয়েছে বলে বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর৷ যাকে ভারতের বড় জয় বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল৷

[ আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জের, আঁধার নামল নিউইয়র্কের টাইমস স্কোয়্যারে]

Advertisement

বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, এদিনের বৈঠকে ভারতের তরফে পাক প্রতিনিধিদের কাছে জানানো হয় যে, করিডর ব্যবহার করে প্রত্যেকদিন পাঁচ হাজার ভারতীয় পূণ্যার্থী কর্তারপুরে যাবে৷ দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে ইসলামাবাদকে সেতু তৈরি করতে হবে৷ ঠিক যেমনটা ভারত করছে৷ এবং ভারত যাতে চলতি বছরের নভেম্বরে গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকীতে এই করিডর শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে সমস্ত রকমের সহযোগিতা করতে হবে পাকিস্তানকে৷ জানা গিয়েছে, রবিবারের দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠকে ভারত-পাক সীমান্তের ওয়াঘা বর্ডারে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অভ্যন্তরীণ সুরক্ষা বিভাগের যুগ্ম সচিব এস সি এল দাস, বিদেশমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব দীপক মিত্তল৷ পাকিস্তানের তরফে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র মহম্মদ ফয়জল৷

অন্যদিকে, কর্তারপুর করিডর তৈরি নিয়ে ভারত-পাক বৈঠকের আগেই আলোচনা কমিটি থেকে খলিস্তানপন্থী নেতা গোপাল সিং চাওলাকে সরিয়ে দেয় ইমরান খান প্রশাসন। ভারতের আপত্তিকে মান্যতা দিয়েই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়৷ চাওলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, লাহোরের গুরুদ্বারে আসা ভারতীয় শিখ তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকদের দেখা করতে দেননি তিনি। গত নভেম্বরে অমৃতসরের নিরঙ্কারি ভবনের গ্রেনেড হামলাতেও নাম জড়ায় চাওলার। তিনি হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ এবং তাঁর সঙ্গে চাওলার একাধিক ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। পাকিস্তানের এই পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লি৷

[ আরও পড়ুন: নগদে নয়, প্রযুক্তির আশীর্বাদে অ্যাপেই ভিক্ষা নিচ্ছেন চিনারা ]

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর হাজারো শিখ পুণ্যার্থী ইরাবতী নদীর তীরে কর্তারপুর দরবার সাহিবে প্রার্থনা করতে যান। ভারত থেকে যেমন পুণ্যার্থীরা কর্তারপুরে যান তেমনই পাকিস্তানেরও বহু শিখ পুণ্যার্থী সেখানে আসেন। দেশের পুণ্যার্থীদের যাতায়াতের পথ সুগম করতে পাঞ্জাবের গুরদাসপুর জেলার ডেরা বাবা নানক থেকে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পর্যন্ত একটি রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। ভারত-পাক আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রণ রেখা সংলগ্ন এলাকায় পাকিস্তানের ভিতরে পড়ে কর্তারপুর। জনশ্রুতি, এই কর্তারপুরে গুরু নানক জীবনের ১৮টি বছর কাটিয়েছিলেন। সে কারণেই শিখ সম্প্রদায়ের কাছে এই জায়গাটি অত্যন্ত পবিত্র উপাসনাস্থল। গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ মুদ্রা এবং ডাক টিকিট প্রকাশ করার, পাশাপাশি এই করিডর কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement