সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাম সম্মেলনের মঞ্চে ফের একে অপরের নিশানায় ভারত এবং পাকিস্তান। উপলক্ষ সেই জম্মু-কাশ্মীর এবং সেখান থেকে ৩৭০ ধারার বিলোপ। ২০১৬ সালের মতো এবারের অষ্টাদশ নির্জোট সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বদলে এবার আজারবাইজানের বাকুতে গিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
একদিকে যেখানে ইসলামবাদের দাবি, কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত যা করেছে তা পুরোপুরি বেআইনি, নীতিবিরুদ্ধ এবং গর্হিত। ঠিক তখনই অন্যদিকে, নয়াদিল্লির পালটা-পাকিস্তান আদপে সমকালীন সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাধারণত নাম না করে, খানিকটা পরোক্ষভাবেই পাকিস্তানকে তুলোধোনা করেছে ভারত। এমনকী, সীমান্ত-সন্ত্রাসের মতো বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়েও পাকিস্তানকে সরাসরি আক্রমণের পথ এড়িয়েই গিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু নির্জোট সম্মেলনের (নন অ্যালাইনড মুভমেন্ট বা নাম সামিট) মঞ্চ সেই নিয়মেরও ব্যতিক্রমের সাক্ষী রইল। কারণ, সম্মেলনে উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু নাম করেই পাকিস্তানকে ‘সমকালীন সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর’ বলে অভিহিত করলেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের মতো এবারের অষ্টাদশতম নির্জোট সম্মেলনেও উপস্থিত ছিলেন না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর বদলে এবার আজারবাইজানের বাকুতে গিয়েছিলেন উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
নায়ডুর মতে, সন্ত্রাসবাদ শুধুমাত্র আন্তর্জাতিক শান্তিস্থাপন এবং নিরাপত্তা সুনিশ্চিতকরণে বাধা সৃষ্টি করে না, বরং নির্জোট আন্দোলনের নীতি-নির্দেশিকাগুলিকেও অসম্মান করে। আর ভারতের মতো পড়শি দেশের বিরুদ্ধে সেই সন্ত্রাসবাদকেই প্রশ্রয় দিয়ে পাকিস্তান আদপে সীমান্ত-সন্ত্রাসকেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়। নায়ডু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, ‘‘নির্জোট সম্মেলনের মঞ্চে সব দেশ উন্নয়নমুখী উদ্যোগ বাস্তবায়নের চেষ্টা করে। কিন্তু একমাত্র ব্যতিক্রম পাকিস্তান। আর তাই আন্তর্জাতিক মহলের বিশ্বাস অর্জনের জন্য পাকিস্তানকে এখনও বহু দূরের পথ অতিক্রম করতে হবে। নিজের জন্য, পড়শি দেশের জন্য এবং সর্বোপরি সমগ্র বিশ্বের জন্য পাকিস্তানের উচিত, নিজেদের মাটি থেকে সন্ত্রাসবাদের বীজ নির্মূল করা। সন্ত্রাসবাদ এবং সন্ত্রাসবাদীদের অস্তিত্বের পক্ষে কোনও যুক্তিই থাকতে পারে না।
[আরও পড়ুন: মেধাবী ছাত্র-শিক্ষক-ফুটবলার বাগদাদিই বন্দুক হাতে তুলে হয়ে ওঠে আইএস প্রধান]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.