Advertisement
Advertisement

Breaking News

রাখাইনে ভারতের তৈরি ৫০টি বাড়ি হস্তান্তর রোহিঙ্গাদের

রোহিঙ্গা পরিস্থিতির দিকে নজর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

India made shelters handed over to Rohingyas
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:December 12, 2018 8:39 pm
  • Updated:December 12, 2018 8:39 pm  

সুকুমার সরকার, ঢাকা: রোহিঙ্গাদের জন্য রাখাইনে নির্মিত ৫০টি ফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি মায়ানমার সরকারের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারত। মায়ানমারে ভারতের রাষ্ট্রপতির সফরকালে এই বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। বুধবার মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মায়ানমার প্রেসিডেন্ট অফিস এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ মঙ্গলবার (১১ ডিসেম্বর) মায়ানমারে যান। সে সময় নাওপিদায় মায়ানমারের প্রেসিডেন্ট প্যালেসে দেশটির রাষ্ট্রপতি উ উইন মিন্টের সঙ্গে এক বৈঠক হয়। বৈঠকে দু’দেশের রাষ্ট্রপতি দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠক শেষে দু’দেশের রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে মায়ানমারে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম মিশ্রি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের জন্য প্রথম দফায় ৫০টি ফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি হস্তান্তর করেন। মায়ানমারের সমাজকল্যাণ, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রী ড. উইন মিয়াত আইয়ের কাছে এসব বাড়ি হস্তান্তর করেন তিনি।

[মায়ানমারের উপর চাপ বাড়িয়ে রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ মার্কিন দূতের]

Advertisement

এদিকে, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া মায়ানমারের কাচিন ও কারেন প্রদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপরও নজর রেখেছে দেশটি। বুধবার বিদেশ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক অ্যাম্বাসাডর অ্যাট লার্জ স্যামুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক সাংবাদিকদের বিশেষ ব্রিফিং করেছেন। ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে ব্রাউনব্যাক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন থেকে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিদেশসচিব, রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত হ্যালি, তিনি নিজে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে গিয়েছেন। সেখানের পরিস্থিতি দেখেছেন। রোহিঙ্গা নিপীড়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারের সেনাবাহিনীর ৫ জন জেনারেল ও দু’টি সামরিক ইউনিটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন বিদেশসচিব টিলারসন এ ঘটনাকে জাতিগত নিধন হিসেবেও বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এটা তাঁরা অব্যাহত রাখবেন। স্যমুয়েল ডি ব্রাউনব্যাক আরও জানান, মায়ানমারের কাচিন ও কারেন প্রদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উপরও নজর রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

[নিজভূমে ফিরতে চাইছেন না আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা   ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement