সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পরোয়া না করেই ইরান থেকে তেল কিনবে ভারত। এই তেল কেনা আগের মতোই অব্যাহত থাকবে।’ বৃহস্পতিবার নিউ ইয়র্কে এই মন্তব্য করে বড় চমক দিলেন ভারত সফররত ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জরিফ। জরিফ বলেন, ইরানের সঙ্গে ভারতের আর্থিক সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলি আগের মতোই বহাল থাকবে। রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভার বৈঠকের ফাঁকে এদিন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে আলাদা করে দীর্ঘ বৈঠকের পর এই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। যদিও ভারতীয় বিদেশমন্ত্রক এ ব্যাপারে কোনও টুইট করেনি বা প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
[কলকাতায় বাণিজ্য সম্মেলনে বড় লগ্নি ইউরোপের, আসবেন বিদেশি প্রতিনিধিরাও]
উল্লেখ্য, পরমাণু কর্মসূচি ইস্যুতে ইরানকে চরমভাবে কোণঠাসা করতে উঠে পড়ে লেগেছে আমেরিকা। এ ব্যাপারে অনেকটা সফলও হয়েছে ওয়াশিংটন। ইরানের তেলের প্রদান দু’টি ক্রেতা হল চিন ও ভারত। নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে চিনের সঙ্গে আমেরিকার প্রচণ্ড বিরোধ চলছে। ফলে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞার পরোয়া না করে চিন ইরান থেকে তেল কেনা চালিয়ে যাবে। কিন্তু আমেরিকা হল ভারতের সামরিক ও রাজনৈতিক বন্ধু। আমেরিকা চাইছে, যেভাবে তার কথা মেনে তার বন্ধু দেশ জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে চলেছে, সেইরকমই ভারতও ইরান থেকে তেল কেনা একেবারে বন্ধ করে দিক। তাহলে চরম আর্থিক কষ্টে ভুগতে শুরু করবে ইরান। ভারতও নিজের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রাথমিকভাবে রাজি হয়েছিল ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করতে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ঠিক করে, নভেম্বর থেকে ইরানি তেলের আমদানি পাকাপাকিভাবে বন্ধ করা হবে। কিন্তু এদিন নিউইয়র্কে সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠকের পর ঘটনা নাটকীয় মোড় নেওয়ায় বড় চমক দেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ইরান থেকে তেল আমদানি অব্যাহত রাখার ব্যাপারে সুষমা স্বরাজের কাছ থেকে আমি নির্দিষ্ট আশ্বাস পেয়েছি। ভারত আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধু। ভারতকে আমরা আগের মতোই তেল সরবরাহ করে যাব।
[রাষ্ট্রসংঘে হাসির খোরাক! নিজের ঢঙেই সাফাই দিলেন ট্রাম্প]
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, ভারতের তেলের দাম সেঞ্চুরি করতে চলেছে। তেলের দাম নিয়েই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জনমত বাড়ছে। এই অবস্থায় ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ হলে ভারতে জ্বালানি তেলের দাম ও চাহিদা হবে আকাশছোঁয়া। পরিস্থিতি হবে সংকটজনক। এই ঝুঁকি নিতে নারাজ মোদি সরকার। তাই ভারতীয় কূটনীতিকরা মার্কিন কূটনীতিকদের এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বোঝাবেন ভারতের ঘরোয়া সংকট ও বাধ্যবাধকতার কথা। ইরান থেকে তেল আমদানি করার জন্য আমেরিকার সবুজ সংকেত আদায় করতে চায় দিল্লি। ট্রাম্প প্রশাসনের দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের সহকারী সচিব অ্যালিস ওয়েলস জানিয়েছেন, ইরানের চাবাহার বন্দরে এবং আফগানিস্তানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। তাছাড়া আফগানিস্তানে আমেরিকার স্বার্থেই ভারতকে প্রয়োজন। ফলে ইরানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রশ্নে ভারতের স্বার্থ ও উদ্বেগের কথা বিবেচনা করছে আমেরিকা। আমেরিকা চায় না
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.