ছবি:প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে (Tawang Clash) ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষ ঘিরে উত্তপ্ত গোটা দেশ। পালটা হামলার আশঙ্কায় ইতিমধ্যেই সামরিক মহড়ার তীব্রতা বাড়িয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের ঘাড়েই সংঘাতের দায় চাপাল চিন (China)। বেজিংয়ের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) পেরিয়ে ঢুকে এসেছিল ভারতীয় সেনাই (Indian Army)। পালটা জবাব দিতে বাধ্য হয়েছে লালফৌজ।
বেআইনি ভাবে সীমান্ত পেরিয়ে চিনের মাটিতে ঢুকেছিল ভারতের সেনা। সেই সঙ্গে লালফৌজকে লক্ষ্য করে আক্রমণ শুরু করে ভারত, দাবি চিনের। বেজিংয়ের এই দাবির কথা জানা গিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপির সূত্রে। প্রসঙ্গত, এই খবর প্রকাশ্যে আসার কিছুক্ষণ আগেই প্রথমবার ভারত-চিন সংঘর্ষ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন। তাঁর মতে, “ভারত-চিন সীমান্ত পরিস্থিতি একেবারে স্বাভাবিক রয়েছে। সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও সামরিক পর্যায়ে আলোচনা চলছে।” তবে ৯ ডিসেম্বর তাওয়াংয়ে দুই দেশের সেনা সংঘাত নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি চিনা মুখপাত্র।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় আক্রমণ করেছিল চিনই। কড়া ভাবে তার জবাব দিয়েছে ভারত। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সেনা আহত হলেও কারোওর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সংসদে দাঁড়িয়ে একই কথা বলেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংও। এহেন পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে এসেছে সংবাদ সংস্থা এএফপির দাবি। তারপরেই প্রশ্ন উঠছে, চিনের বিবৃতিতে তাহলে শান্তির কথা কেন উল্লেখ করা হল? কেনই বা বিবৃতিতে ৯ ডিসেম্বরের ঘটনা নিয়ে কোনও কথা বলা হল না?
তাওয়াংয়ের ঘটনার পর থেকে ভারতের সামরিক মহলে তৎপরতা বেড়ে গিয়েছে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন তিন বাহিনীর প্রধান। তবে অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন চিনকে। সংঘর্ষের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “তাওয়াং আমার বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে। প্রতি বছরই সেখানে গিয়ে সেনাদের সঙ্গে দেখা করি। সেই জন্য সকলকে মনে করিয়ে দিতে চাই, এটা ১৯৬২ সাল নয়। যদি কেউ আমাদের দেশে ঢুকে হামলা করতে চায়, আমাদের সেনা পালটা আক্রমণ করে তাদের যোগ্য জবাব দেবে।” সবমিলিয়ে, ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে উত্তপ্ত দুই দেশই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.