সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ভারত এবং চিন। সূত্রের দাবি, এর মধ্যে রয়েছে লাদাখের দেপসাং ও ডেমচক অঞ্চলও। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ২০২০ সালের এপ্রিল মাসের আগে সেনা যেখানে ছিল সেখানেই সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুই দেশের সেনাকে।
চিনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছিল চিনা বাহিনী। আর এবার সেই জটই কাটতে চলেছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ভারত এবং চিনের মধ্যস্থতাকারীরা লাগাতার আলোচনা করেছেন। তার পরে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে একমত হয়েছে দুই দেশ। সেনা সরানো নিয়ে সহমত হওয়ার পরে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ আরও গলে ব্রিকস সম্মেলনে। গালওয়ান সংঘর্ষের পরে প্রথমবার বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদি এবং শি জিনপিং। ২০১৯ সালের পর এই প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। সেখানে মোদি সাফ জানিয়ে দেন, সীমান্তে শান্তি ফেরানোই অগ্রাধিকার।
আর এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের ‘ভূমিকা’ও দেখছেন অনেকে। মনে করা হচ্ছে, চিন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের জটিলতা কমাতে উদ্যত হওয়ার পিছনে রয়েছে সুদূরপ্রসারী কূটনৈতিক উদ্দেশ্য। মনে করা হচ্ছে, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দেশগুলোর ‘একাধিপত্যে’র পালটা দিতে এবার কোমর বেঁধে নামছে ব্রিকস। ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, এবার ভারত-চিনের মধ্যে বরফ গলাতে দুই দেশের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করছে রাশিয়া, এমনটাই মত বিশ্লেষকদের। তার কারণ, সামরিক-অসামরিক দুই ক্ষেত্রেই আমেরিকা এবং অন্যান্য পশ্চিমি দেশগুলোর একাধিক জোট রয়েছে। সেগুলোর ‘পালটা’ হিসাবে ব্রিকসকে তুলে ধরতে চাইছে রাশিয়া-চিন। তার জন্য ভারতের সহায়তা একান্ত কাম্য দুই দেশের পক্ষেই। নয়াদিল্লিকে সন্তুষ্ট করতেই কি প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা এলাকায় টহলদারি নিয়ে একমত হল বেজিং? উঠছে সেই সম্ভাবনাও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.