সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতলতা কাটিয়ে ফের চিনের সঙ্গে সুসম্পর্কের পথে ভারত। এক বছরের বিরতির পর নতুন করে দুই দেশের যৌথ সেনা মহড়া শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। ডোকলাম নিয়ে অশান্তির জেরে গত বছর এই যৌথ মহড়ার আয়োজন করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এবছর এপ্রিলে চিন সফরে যান মোদি। চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। ডোকলাম নিয়ে দুই রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে আলোচনা না হলেও সেই বৈঠকের পর সম্পর্কের বরফ গলা যে শুরু হয়েছে তা বলাই যায়। আর ভারত-চিন সম্পর্কের এই উন্নতি যে পাকিস্তানের জন্য মোটেই ভাল খবর নয়. তা একবাক্যে মেনে নিচ্ছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বছরখানেক আগেও চিনের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ছিল আদায় কাঁচকলায়। সেনা মহড়া তো দূরের কথা দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পরিবেশও ছিল না এশিয়ার দুই শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে। ডোকলাম সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসন সত্যিই ভাবিয়ে তুলেছিল ভারতকে। উত্তরাখণ্ডে একাধিকবার ভারতীয় সীমান্তে ঢুকে গিয়েছিল চিনা হেলিকপ্টার। এমনকী দুই দেশের সীমান্তে প্রাক-যুদ্ধ প্রস্তুতিও শুরু হয়ে গিয়েছিল। তবে, সম্পর্কের আরও অবনতি হওয়ার আগেই পরিস্থিতি সামাল দেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তাঁর চেষ্টাতেই দু’দেশের মধ্যে আলোচনার রাস্তা খুলে যায়। এরপর একে একে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই চিনে গিয়েছেন। যার জেরে আবারও স্বাভাবিক হয়ে উঠছে দুই দেশের সম্পর্ক।
কলাইকুণ্ডা এবং পানাগড়, এরাজ্যের দুই ঘাঁটিতে মার্কিন সেনার সঙ্গে যৌথ মহড়া করছে ভারতীয় সেনা। যার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছিল চিন। তবে, এবার তারাও ভারতের সঙ্গে সেনা মহড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। আগামী মঙ্গলবার চিনের চেংডুতে এই মহড়া শুরু হবে। নাম দেওয়া হয়েছে ‘Hand in Hand’। মূলত সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং পারস্পারিক সহযোগিতা বাড়িয়ে তোলাই এই যৌথ মহড়ার লক্ষ্য। দুই দেশের সেনার ১০০টি করে দল অংশ নেবে এই মহড়ায়। এই মহড়া পারস্পারিক বোঝাপড়া বাড়িয়ে দুই দেশকে যৌথভাবে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় সাহায্য করবে বলে মনে করছেন দুই দেশের সেনা আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.