সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধে উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। ‘ডুমস ডে ক্লকে’র কাঁটা মহাপ্রলয় থেকে মাত্র ৯০ সেকেন্ড দূরে। এহেন পরিস্থিতিতে ত্রাতা হয়ে এই সংঘাত থামাতে পারে ভারত। এমনটাই মনে করছে আমেরিকা।
বুধবার ইউক্রেনে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত ব্রিজেট এ ব্রিঙ্ক বলেন, “ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে ভারত।” ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে তিনি আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে ‘গ্লোবাল সাউথ’ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এবিষয়ে নয়াদিল্লি উদ্বিগ্ন। ফলে এই লড়াই থামাতে তাদের উদ্যোগী হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র বাঁচাতে ভারত-সহ অন্যান্য সহযোগীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করবে আমেরিকা।”
বিশ্লেষকদের মতে, জুন মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) আমেরিকা সফরের পরই নতুন সমীকরণ তৈরি হয়েছে। ড্রোন থেকে শুরু করে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন তৈরি-সহ একাধিক ঐতিহাসিক চুক্তি হয় দুই দেশের মধ্যে। ফলে, পর্দার আড়ালে মস্কোর সঙ্গে ‘কমিউনিকেশন চ্যানেল’ তৈরি করতে দিল্লির মদত চাইছে ওয়াশিংটন। কারণ, আগামী দিনে রাশিয়ার চাইতেও চিন যে বড় বিপদ তা ইতিমধ্যে আঁচ করেছে আমেরিকা। তাই এখন মার্কিন রণনীতি চিনকেন্দ্রিক।
উল্লেখ্য, এতদিন যুদ্ধ চললেও ভারত কিন্তু রাশিয়ার নিন্দা করেনি। বৈশ্বিক অর্থনীতি ও রাজনীতিতে ভারতের অবস্থান ও গুরুত্ব কতটা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমেরিকা সফর তা স্পষ্ট করে দিয়েছে। আমেরিকার সব সুরে সুর না-মিলিয়েও ভারত সমীহ আদায় করেছে। নিজের চাহিদা পূরণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রর ‘নির্ভরযোগ্য সঙ্গী’দের একজন হিসাবে নিজেকে প্রতিপন্ন করেছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এমনিই এমনিই নরেন্দ্র মোদির জয়গান করছেন না। তিনি ও তাঁর আন্তর্জাতিক বন্ধুরা বিলক্ষণ বুঝেছেন- চিন, রাশিয়া ও ইরানের পাশাপাশি সৌদি আরব পুরোপুরি গা এলিয়ে দিলেও গণতন্ত্রর আধিপত্য রক্ষায় ভারতের সাহচর্য না হলেই নয়। সেই প্রয়োজন মেটানোর মূল্য প্রধানমন্ত্রী মোদিও কড়ায়গণ্ডায় উসুল করছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.