সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরান ও ভারতের সম্পর্ক বহুদিনের। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় তেল আমদানি বন্ধ করলেও তেহরানের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট রয়েছে নয়াদিল্লির। এই ‘বন্ধুত্ব’ আরও মজবুত করতে রবিবার দু’দিনের ইরান সফরে গিয়েছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। সেখানে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) নিয়ে সে দেশের ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের কাছে ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। এছাড়া, ছাবাহার বন্দরে সহযোগিতা আরও বাড়ানো নিয়েও ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জ়ারিফের সঙ্গে কথা হয়েছে জয়শংকরের।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, CAA নিয়ে মার্কিন সেনটরদের একাংশের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার কূটনৈতিক জবাব দিয়েছে মোদি সরকার। আমেরিকা যখন ইরান থেকে তেল আমদানি নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তখন এই দ্বিপাক্ষিক দৌত্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। পাশাপাশি, CAA নিয়ে ইরানের কাছে ব্যাখ্যা দিয়ে ওয়াশিংটনের কাছে তেহরানের গুরুত্ব সাফ তুলে ধরেছে নয়াদিল্লি।
এদিকে, CAA নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মুসলিম দেশগুলির সংগঠন ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কান্ট্রিজ’ (OIC)। তাৎপর্যপূর্ণভাবে OIC’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ইরান। ফলে মুসলিম বিশ্বে যাতে নয়া আইন নিয়ে ভুল বার্তা না যায়, সেই বিষয়টি মাথায় রেখেই জয়শংকরের ইরান সফর।
সোমবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রৌহানির সঙ্গে বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক তথা প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও সমন্বয় নিয়ে আলোচনা হয় দুই নেতার মধ্যে। এর আগে রবিবার, ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভেদ জ়ারিফের সঙ্গে কথা হয়েছে জয়শংকরের। কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছাবাহার বন্দরের কাজ আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয় তাঁদের মধ্যে। সন্ত্রাসবাদ নিয়েও যৌথভাবে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে দুই দেশ। নাম না করেও পাকিস্তানকে যে নিশানা করা হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দেওয়ার অভিযোগ বহুদিন ধরেই করে আসছে ভারত ও আফগানিস্তান। পাশাপাশি জেহাদিদের মদত দেওয়া নিয়ে ইসলামাবাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ইরানও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.