সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন সেনা সরতেই আফগানিস্তান (Afghanistan) চলে গিয়েছে তালিবানের (Taliban) দখলে। গত ১৫ আগস্ট কাবুলও দখল করে নেয় তালিব জঙ্গিরা। ইতিমধ্যে গঠিত হয়েছে অন্তর্বতীকালীন মন্ত্রিসভাও। যার শীর্ষে রয়েছে মোল্লা আখুন্দ। কাতারের মতো দেশ নয়া তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিলেও ভারত-সহ অনেকেই এখনও তাদের স্বীকৃতি দেয়নি।
তবে বর্তমানে পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতেও শুরু করেছে। শেষপর্যন্ত কি আফগানিস্তানে সদ্য গঠিত তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে ভারত? এই প্রশ্ন এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। কূটনৈতিক মহলের দাবি, সবকিছু ঠিক থাকলে, এই সপ্তাহেই হয়তো তাতে সিলমোহর বসাতে পারে দিল্লি। এ মাসের ১৭ তারিখ তাজকিস্তানে হতে চলেছে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গানাইজেশনের বৈঠক। এই বৈঠকে যোগ দেবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। ভারচুয়ালি তাতে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকেই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিতে পারে মোদি সরকার।
কূটনৈতিক মহলের দাবি, গত সপ্তাহে দিল্লিতে আমেরিকা ও রাশিয়ার সঙ্গে বৈঠকে তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে কার্যত নীল-নকশা তৈরি করা ফেলা হয়েছে। রবিবার এক বৈঠকে এই ব্যাপারে অস্ট্রেলিয়ার থেকেও সম্মতি আদায় করে ফেলেছে দিল্লি। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে মনে করে আফগানিস্তানে মূলত ক্ষমতা ও কর্তত্বের সরকার গঠিত হচ্ছে। এই অবস্থায় দিল্লি চায় তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিয়ে তাদের আঁচ থেকে কাশ্মীরকে বাঁচাতে। আর এই ইস্যুতে দিল্লির পাশে আছে অস্ট্রেলিয়াও। কারণ, তালিবান আসার আগে আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করেছে ক্যানবেরাও।
এদিকে, আগামী সপ্তাহে তাজিকিস্তানের রাজধানী দুশানবে গিয়ে রাশিয়া, ইরান, তাজিকিস্তান-সহ SCO অন্তর্ভুক্ত অন্যান্য দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক সারবেন এস জয়শংকর। বৈঠকে থাকবেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই, রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ান এবং পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিও। আর মূল আলোচনার বিষয়বস্তুই হবে আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি। আর সেখানেই তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে পারে নয়াদিল্লি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.