সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সঠিক পথেই এগোচ্ছে দেশের অর্থনীতি (Economy)। সারা বিশ্বের অর্থনীতির নিরিখে অপেক্ষাকৃত ‘উজ্জ্বল অবস্থানে’ রয়েছে ভারত। অতিমারীর কবল থেকে ফিরে এসে উল্লেখ্যযোগ্য ভাবে গড় মানের চেয়ে উপরেই অবস্থান করছে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি। এমনটাই দাবি করলেন আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল আইএমএফের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্টয়নেত্তে সায়েহ।
একটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এমনই আশার কথা শোনালেন তিনি। তবে তাঁর মতে, ভারতকে পরিষেবা রপ্তানিতে তার বিদ্যমান শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। এবং চাকরি-সমৃদ্ধ উৎপাদন রপ্তানিতে সেটিকে প্রসারিত করতে হবে। ২০২২ সালের অক্টোবরে তাদের রিপোর্টে আইএমএফ দাবি করেছিল, গত দুই দশকের মধ্যে সবথেকে বড় আর্থিক মন্দার একেবারে সামনে রয়েছে বিশ্ব। ২০২১ সালে বৃদ্ধি যেখানে ছিল ৬ শতাংশ, তা পরের বছরই নেমে এসেছিল প্রায় অর্ধেক, ৩.২ শতাংশে। কিন্তু এই বছর তা ২.৭-এ নেমে যাবে বলেই আশঙ্কা। এর প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। এই অবস্থায় ভারতের পরিস্থিতি নিয়ে আইএমএফের ভবিষ্যদ্বাণী সত্য়িই আশার আলো দেখাচ্ছে।
এই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, মন্দার মোকাবিলা করাই এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির মূল কাজ। কেননা অর্থনৈতিক বৃদ্ধি ও লগ্নিকারীরা দেশীয় বাজার ছেড়ে চলে গেলে চাপ বাড়বে।
উল্লেখ্য, মূল্যবৃদ্ধি ও বেকারত্ব বৃদ্ধি- এই দুই সংকটের মোকাবিলা করতে হচ্ছে রিজার্ভ ব্যাংককে। কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মত হল, যেহেতু মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে, তাই এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাংকের (RBI) অনেক বেশি নজর দেওয়া উচিত বেকারত্ব কমানোর দিকে। বেকারত্ব কমাতে গেলে আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়াতে হবে। যার জন্য বেসরকারি লগ্নিকে উৎসাহ দিতে হবে। সেটা করতে গেলে সুদের হার আর বেশি বাড়ানো যাবে না।
এদিকে ‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ তথা CMIE যে নতুন হিসেব পেশ করেছে ডিসেম্বরে দেশের বেকারত্বের হার ৮.৩ শতাংশে পৌঁছতেই তৈরি হয়েছে নয়া নজির। গত ১৬ মাসের মধ্যে এই হারই সর্বোচ্চ। এই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে মরিয়া নয়াদিল্লি। আশা দেখাচ্ছে আইএমএফের ভবিষ্যদ্বাণী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.