Advertisement
Advertisement

রাজনৈতিক ডামাডোলে শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী পদে রাজাপক্ষে, উদ্বিগ্ন দিল্লি  

শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক নাটকে নয়া মোড়।

In Sri Lanka Mahinda Rajapakse is back, now as PM
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 27, 2018 11:02 am
  • Updated:October 27, 2018 12:18 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক নাটকে নয়া মোড়। সাবেক ‘স্ট্রংম্যান’ মাহিন্দা রাজাপক্ষেই শেষপর্যন্ত দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে বসলেন। শুক্রবার তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রেসিডেন্ট মৈথিরিপালা সিরিসেনা। সিরিসেনার দল শাসক জোট থেকে বেরিয়ে আসার পর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে মেনে নেওয়া ছাড়া অন্য পথ খোলা ছিল না সিরিসেনার সামনে। রাজাপক্ষের প্রধানমন্ত্রী পদে শপথের খবর সংবাদমাধ্যমকে জানানো হয়েছে প্রেস নোট দিয়ে। সরকারি টিভিতেও সেই শপথের অনুষ্ঠান দেখানো হয়েছে। এদিকে, প্রেসিডেন্ট সিরিসেনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দেশের এক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে এক ভারতীয় নাগরিককেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

[‘সিরিয়া নয়, মানবতার জন্য সবচেয়ে বিপজ্জনক সন্ত্রাসবাদী পাকিস্তান’]

Advertisement

সম্প্রতি সিরিসেনার বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট ইউনাইটেড পিপলস্‌ ফ্রিডম অ্যালায়েন্স প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহের ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির সঙ্গে গড়া বর্তমান জোট সরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। এরপরেই শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। ইউপিএফএ-র সাধারণ সম্পাদক ও কৃষিমন্ত্রী মাহিন্দা অমরাবীরা বলেন, দলের সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিক্রমসিংহের সমর্থনে সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ২০১৫ সালে জোট সরকার গঠিত হয়। আর তাতেই প্রায় দশক দীর্ঘ রাজাপক্ষে সরকারের অবসান হয়েছিল। সেই রাজাপক্ষেই ফের দেশের প্রধানমন্ত্রী পদে। এদিন তাঁকে যে প্রেসিডেন্ট মৈথিরিপালা সিরিসেনা শপথবাক্য পাঠ করালেন, তিনি একসময় রাজাপক্ষের সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি রাজাপক্ষের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোয় দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। কারণ, সংবিধানের ১৯-তম সংশোধনী অনুযায়ী গরিষ্ঠতা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে অপসারণ করা যায় না। বিক্রমসিংহের আসন সংখ্যা ১০৬, অন্যদিকে রাজাপক্ষে ও সিরিসেনার সম্মিলিত আসন সংখ্যা মাত্র ৯৫। প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা হত্যা চক্রান্তের অভিযোগে ধৃত নালাকা ডি সিলভা শ্রীলঙ্কা পুলিশের কাউন্টার-টেররিজম ফোর্সের প্রাক্তন প্রধান। পাঁচ দিন জেরার পরেই নালাকা ডি সিলভাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে লঙ্কার রাজনৈতিক ডামাডোলে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। চিনের সঙ্গে দহরম মহরম রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাস্ট্রপতি রাজাপক্ষের। পালটা বিক্রমসিংহে ভারতপন্থী। বর্তমান রাস্ট্রপতি সিরিসেনার সঙ্গেও সম্পর্ক মজবুত দিল্লির। ২০১৪-এ রাজাপক্ষের ক্ষমতা হারানোর নেপথ্যে অনেকটাই হাত ছিল ভারতের। ফলে এবার রাজাপক্ষের ক্ষমতায় ফিরে আসা দিল্লির পক্ষে অশনিসংকেত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।         

[স্কুল বাসে যৌন হেনস্তা, আতঙ্কে সাড়ে তিন বছরের খুদে পড়ুয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement