Advertisement
Advertisement
পাকিস্তান

আমেরিকায় বিক্ষোভের মুখে ইমরান, বক্তৃতার মাঝেই বিক্ষোভ বালোচদের

পাক প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার মাঝেই বালচিস্তানের স্বাধীনতা চেয়ে সরব একদল সমাজকর্মী৷

Imran Khan’s speech in US disrupted by Baloch activists
Published by: Tanujit Das
  • Posted:July 22, 2019 6:52 pm
  • Updated:July 22, 2019 6:52 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনদিনের জন্য মার্কিন সফরে গিয়েছেন ইমরান খান৷ প্রথমবারের জন্য সাক্ষাৎ করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে৷ তবে তার শুরুতেই ছন্দপতন৷ ওয়াশিংটনের একটি স্টেডিয়ামে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ ইমরানের বক্তৃতার মধ্যেই বালোচিস্তানে পাক সেনার নৃশংসতা নিয়ে সরব হলেন একদল সমাজকর্মী। স্বাধীন বালোচিস্তানের দাবিতে গলা ফাটালেন তাঁরা।

[ আরও পড়ুন: খোঁজ মিলল ৯ হাজার বছর পুরনো ‘রহস্যময়’ বসতির]

Advertisement

জানা গিয়েছে, রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ওয়াশিংটন ডিসির অ্যারিনা ওয়ান স্টেডিয়ামে৷ যখন আমেরিকায় বসবাসকারী পাকিস্তানিদের দ্বারা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর, সেই বক্তৃতা চালাকলীনই দর্শকাসনে হঠাৎ চিৎকার শুরু হয়৷ দেখা যায়, ইমরান খানের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন একদল যুবক৷ তাঁদের অভিযোগ, বালোচিস্তানে নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে পাক সেনা৷ নিরীহ বালোচদের উপর অকথ্য বর্বরতা চলছে৷ তাঁদের দাবি, এই অত্যাচারের হাত থেকে মুক্তি চাইছে বালোচরা৷ সেজন্য বালোচিস্তানকে স্বাধীনতা দিতে হবে। যদিও এই প্রতিবাদ-বিক্ষোভের মাঝেও বক্তৃতা চালিয়ে যান ইমরান খান৷ সবে এই ঘটনা স্বভাবতই আন্তর্জাতিক মহলে ইসলামাবাদের অস্বস্তিতে বাড়িয়েছে৷

[ আরও পড়ুন: আক্রান্ত হিন্দু পুরোহিত, মাঝরাস্তায় মেরে ফাটিয়ে দেওয়া হল মুখ ]

অন্যদিকে, রবিবার পাক প্রধানমন্ত্রীকে চরম অপমান করেছে ট্রাম্প প্রশাসনও৷ তিন দিনের আমেরিকা সফরে যাওয়া ইমরান খানকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানালেন না সরকারের কোনও প্রতিনিধি৷ নিয়ম অনুযায়ী, কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা রাষ্ট্রনায়করা আমেরিকায় গেলে, তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে সে দেশের সরকার। কিন্তু, ইমরানের ক্ষেত্রে তেমন কিছুই হয়নি বলে সূত্রের খবর। রবিবারই ইমরানের আমেরিকায় পৌঁছনোর ভিডিও পোস্ট করে তাঁর দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)৷ যেখানে দেখা যায়, বিমানবন্দরে ইমরানকে অভ্যর্থনা জানাতে হাজির হয়েছিলেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং সেখানের পাক দূতাবাসের কয়েক জন কর্মী৷ হাজির হননি মার্কিন প্রশাসনের তরফে কোনও প্রতিনিধি৷ যা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে৷  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement