সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটে জেতার আভাস পেয়েই ভারত-পাক সৌহার্দ্য স্থাপনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন সেদেশের হবু প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইমরানের স্পষ্ট বার্তা ছিল ভারত এক ধাপ এগোলে পাকিস্তান এগোবে দু’ধাপ। এরপরই শান্তি স্থাপনের লক্ষ্যে প্রথম পদক্ষেপটি করে ভারত। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফোনে ইমরানকে প্রধানমন্ত্রীত্বের শুভেচ্ছা জানান মোদি। এবার বন্ধুত্বের লক্ষ্যে দ্বিতীয় পদক্ষেপটি করতে চলেছেন ইমরান খান। শোনা যাচ্ছে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদিকে আমন্ত্রণ জানাবেন ইমরান।
গতকাল পাকিস্তানের হবু প্রধানমন্ত্রীকে জয়ের শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে মোদি বলেন, ইমরানের জয় পাকিস্তানের মাটিতে গণতন্ত্রের শিকড়কে পোক্ত করবে। এমনটাই আশা করেন তিনি। মোদি আরও বলেন, ‘আশা করি আপনার প্রধানমন্ত্রীত্ব দুই দেশের সম্পর্কের একটা নতুন অধ্যায় শুরু হবে।’ মোদির এই টেলিফোনকে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতির প্রাথমিক ধাপ হিসেবে দেখছে পাকিস্তান। ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের তরফে জানানো হয়েছে, মোদির ফোনকল ভাল ইঙ্গিত। আমরা দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতির ব্যাপারে আশাবাদী। ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে সার্কভূক্ত সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবা হচ্ছে, আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও। তবে, এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক। বিদেশমন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনার পরই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে ইমরান খানের দল। এর আগে ইমরান খানের এক ঘনিষ্ঠ দাবি করেছিলেন, শপথগ্রহণে শচীন তেণ্ডুলকরকেও আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে। তবে, তা নিয়ে এদিন কিছু বলেননি পিটিআই মুখপাত্র।
এর আগে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁকে জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে পাকিস্তান গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তা নিয়ে বিস্তর বিতর্কও হয়েছিল। এক্ষেত্রেও কী আমন্ত্র্ণ পেলে পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখবেন প্রধানমন্ত্রী? সুত্রের খবর, এ নিয়ে এখনই কিছু ভাবতে চাইছে না ভারত সরকার। মোদির পাকিস্তান যাওয়া নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আমন্ত্রণপত্র পাওয়ার পরই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.