সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে থমকে যাওয়া বাণিজ্যিক সম্পর্ককে নতুন করে শুরু করতে গিয়েও পিছু হটেছে পাকিস্তান (Pakistan)। চিনি, তুলোর আমদানি ফের শুরু করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েও তা খারিজ করল ইমরান (Imran Khan) প্রশাসন। আর এই সিদ্ধান্ত বদলের কারণ হিসেবে ফের উঠে এল কাশ্মীরের (Kashmir) নাম। পাক ক্যাবিনেটের সাফ কথা, কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তোলার সিদ্ধান্ত যতক্ষণ না প্রত্যাহার করছে ভারত ততক্ষণ নিজেদের ক্ষতি স্বীকার করেও তারা নয়াদিল্লির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামতে রাজি নয়।
পাক ক্যাবিনেটমন্ত্রী শিরিন মাজারির কথায়, ”ক্যাবিনেট পরিষ্কার জানিয়েছে, ভারতের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, যতদিন না ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কাশ্মীর নিয়ে করা পদক্ষেপ ফিরিয়ে নিচ্ছে ভারত, ততদিন তাদের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও উন্নতি হওয়া সম্ভব নয়।”
একই সুর পাকিস্তানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হাসানের গলাতেও। তিনি কড়া ভাষায় জানিয়েছেন, ”কাশ্মীরের মূল্যে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কোনও রকম উন্নতি নয়। তবে ভারত যদি ৫ আগস্টের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে সহযোগিতার নতুন রাস্তা খুলে যেতেই পারে।”
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একটি চিঠি লিখেছিলেন ইমরান খান। সেখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পক্ষে সওয়াল করেন। তখনও দক্ষিণ এশিয়ার পরিস্থিতি শোধরাতে কাশ্মীরের গুরুত্বের কথা বলতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এবার ফের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক শুধরাতেও সেই কাশ্মীর ইস্যুই তুলে ধরল ইসলামাবাদ। বুধবারই ভারতের উপর থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। ইমরান প্রশাসন ভারত থেকে চিনি (Sugar) ও তুলো (Cotton) আমদানিতে সম্মতি দিয়েছিল। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই বদলে যায় ছবিটা। পাক ক্যাবিনেট খারিজ করে দেয় এই সিদ্ধান্তকে।
২০১৯ সালের গোড়ায় পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার ঘটনার পর থেকেই নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয় দুই দেশের সম্পর্কে। তার প্রভাব পড়ে বাণিজ্যেও। সেই সময় ভারত থেকে কোনও কিছু আমদানিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করে ইসলামাবাদ। অবশেষে প্রায় দু’বছর পেরিয়ে যাওয়ার পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পথে হাঁটত দেখা গিয়েছিল ইমরানের দেশকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.