সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) তাকে কটাক্ষ করেছে ‘তোতাপাখি’ বলে। এমনকী, তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে পাকিস্তানকে তারা ছেড়ে কথা বলবে না বলেও হুমকি দিয়েছে জেহাদিরা। কিন্তু তবুও রাষ্ট্রসংঘের (UN) সাধারণ সভায় সেই তালিবানের হয়েই গলা ফাটাতে দেখা গেল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে। তিনি আরজি জানালেন আফগানিস্তানের (Afghanistan) বর্তমান সরকারকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল করে তোলার।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদন অনুসারে, শনিবার ইমরানকে বলতে শোনা যায়, ”আমরা যদি আজ আফগানিস্তানকে অবহেলা করি তাহলে আগামী বছরের মধ্যে সেদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে যাবেন। ফলে অচিরেই গভীর মানবিক সংকট তৈরি হতে চলেছে। যার প্রভাব কেবল আফগানিস্তানের প্রতিবেশী দেশগুলির উপরেই নয়, সর্বত্রই পড়বে।”
সেই সঙ্গে ইমরান আরও বলেন, এই অস্থিরতা বজায় থাকলে ফের আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের ‘স্বর্গ’ হয়ে উঠবে। যদিও তালিবানের রাজত্বেই যে আফগানিস্তান জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল, সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান পাক প্রধানমন্ত্রী। তবে আশ্চর্যজনক ভাবে ইমরান তালিবানের হয়ে রাষ্ট্রসংঘে সওয়াল করলেও ইমরানের আগের কিছু মন্তব্য বেজায় চটেছে তালিবান।
জেহাদি সংগঠনটির এক মুখপাত্রের বক্তব্য, ”ইমরান খান নিজেই তো মনোনীত প্রধানমন্ত্রী। ও একটা তোতাপাখি। আমরা যেমন অন্য দেশের বিষয়ে নাক গলাই না, তেমনই অন্য কেউ আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলালে সেটা বরদাস্ত করা হবে না।”
আসলে এর আগে ইমরানকে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল আফগানিস্তানের সরকার নিয়ে। তাঁর আশঙ্কা ছিল, আফগানিস্তানের নতুন সরকারকে প্রকারন্তরে আমেরিকাই পরিচালনা করবে। কিন্তু তাঁর আগের সেই মন্তব্যের উলটো সুরই রাষ্ট্রসংঘে শোনা গেল পাক প্রধানমন্ত্রীর গলায়। প্রসঙ্গত, তালিবান সরকার গঠনে আইএসআই প্রধান ফইজ হামিদ যেভাবে মাথা গলিয়েছিলেন তা থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল আফগান মুলুকের সরকারে আড়ালে থাকছে পাকিস্তানের ছায়াও। এই পরিস্থিতিতে এবার রাষ্ট্রসংঘে সেই সরকারকে স্বীকৃতিদানের প্রয়াস ইমরানের। যদিও তাঁর আবেদন সত্ত্বেও বিশ্বের খুব বেশি দেশ আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.