সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলের চাপ উপেক্ষা করেই দক্ষিণ গাজার রাফায় ঢুকে পড়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। হামাসের ঘাঁটি নিশানা করে চলছে হামলা। প্রাণ হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। রাফার এই অভিযান নিয়ে আগেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বহু দেশ। প্যালেস্তিনীয়দের ‘শেষ আশ্রয়’তে ইজরায়েলের হামলা রুখতে হস্তক্ষেপ চেয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। শুক্রবার যার শুনানিতে আদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে রাফায় অভিযান বন্ধ করতে হবে ইজরায়েলকে।
আট মাস পেরিয়ে গেলেও গাজায় জারি রয়েছে হামাস-ইজয়ায়েল যুদ্ধ। চলতি বছরের গোড়া থেকেই রাফায় ঢুকে অভিযান শুরু করায় জোর দিয়েছিলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তাঁর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল আমেরিকাও। কিন্তু কোনও কথাতেই কর্ণপাত করেননি নেতানিয়াহু। এই পরিস্থিতিতে গত মার্চ মাসে রাফায় হামলা ঠেকাতে আন্তর্জাতিক আদালতে আবেদন জানিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন সেই শুনানিতেই আন্তর্জাতিক আদালতের সভাপতি নওয়াফ সালাম নির্দেশ দেন, “দক্ষিণ গাজার রাফায় অবিলম্বে সামরিক অভিযান বন্ধ করতে হবে ইজরায়েলকে।” ফলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আশঙ্কার মাঝেই আরও চাপে পড়লেন নেতানিয়াহু।
উল্লেখ্য, গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইজরায়েল! এই অভিযোগ তুলে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির দাবি জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান আইনজীবী করিম খান। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার বর্তমান পরিস্থিতির কথা তুলে ধরে সোমবার করিম খান আদালতে বলেন, গাজার বর্তমান অবস্থা এবং একাধিক যুদ্ধাপরাধের দায় অস্বীকার করতে পারেন না নেতানিয়াহু। ইজরায়েলের বিরুদ্ধে তাঁর দাবি, “সাধারণ নাগরিকদের অনাহার, ইচ্ছাকৃতভাবে যন্ত্রণা বা গুরুতর আঘাত করা, হত্যা এই সব কিছুই আমাদের অভিযোগের মধ্যে রয়েছে। প্যালেস্তিনীয়দের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আক্রমণ ওদের রাষ্ট্রীয় নীতি। যা আজও চলছে।” জানা গিয়েছে, এই বিষয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকার ও ভিডিওর প্রমাণও তাঁরা সংগ্রহ করেছেন।
বলে রাখা ভালো, এপ্রিল মাসেই রাফায় ঢুকে পড়ে ইজরায়েলের ট্যাঙ্কবাহিনী। ইতিমধ্যে রাফা বর্ডার ক্রসিংয়ের প্যালেস্তিনীয় অংশ দখল করে নিয়েছে তারা। দক্ষিণ গাজার এই শহরে হামাস জঙ্গিদের ডেরা লক্ষ্য করে চলছে হামলা। যার ফলে বিপন্ন সেখানে থাকা লক্ষ লক্ষ প্যালেস্তিনীয়ের জীবন। এই রাফায় রয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ। যার মধ্যে অধিকাংশই শরণার্থী। ফলে তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আতঙ্কের প্রহর গুনছে মানবাধিকার সংস্থাগুলোও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.