সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গায়ের জোরে আফগানিস্তানে (Afghanistan) ক্ষমতা দখল করেছে তালিবান। তবে মসনদে বসলেও এখনও আন্তর্জাতিক মঞ্চের স্বীকৃতি পায়নি তারা। ফলে বিশ্বের কাছে ‘মান্যতা’ পেতে মরিয়া তালিবান। আর সেই মর্মে রাষ্ট্রসংঘের (UN) অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার আরজিও জানিয়েছিল জেহাদিরা। যদিও তাতে বিশেষ ফল হয়নি। তাই এবার রাষ্ট্রসংঘে প্রতিনিধিত্ব পেতে কার্যত ‘টোপ’ দিল তালিবান।
রুশ সংবাদমাধ্যম Sputnik-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আফগান কার্যনির্বাহী সরকারের তথ্য-সংস্কৃতি মন্ত্রী জাবিউল্লা মুজাহিদ বার্তা দিয়েছে যে, রাষ্ট্রসংঘে তালিবানকে বক্তব্য পেশ করার সুযোগ দিলে আমেরিকা, ইউরোপ ও অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করবে তারা। মুজাহিদের কথায়, “যদি আমার ভাই সোহেলকে আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে রাষ্ট্রসংঘ মান্যতা দেয়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আমেরিকা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার চেষ্টা করবেন তিনি। এছাড়া অন্য মুসলিম দেশগুলির সঙ্গেও দীর্ঘ মেয়াদী সহযোগিতা তৈরি করার চেষ্টা করবেন তিনি। এটাই আমাদের প্রাথমিক কাজ।” একই সঙ্গে রাষ্ট্রসংঘে স্বীকৃতি পেতে কাতারের মতো ‘বন্ধু’ দেশের মদত চেয়েছে মুজাহিদ।
উল্লেখ্য, এই সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দিতে চায় তালিবান (Taliban)। তালিবানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিও গুত্তেরেসকে সোমবারই এই আরজি জানিয়ে চিঠি লিখেছে। সেই চিঠিতে দোহার তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিনকে আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রদূত হিসেবে রাষ্ট্রসংঘে ভাষণ দেওয়ার সুযোগ দিতে আরজি জানাতে দেখা গিয়েছে আমির খানকে। আর বিশ্ব দরবারে তালিবানের হয়ে রীতিমতো ওকালতি করছে কাতার, পাকিস্তান ও চিনের মতো দেশগুলি।
গত আগস্টে আফগানিস্তান দখল করেছিল তালিবান। তখন থেকেই গোটা বিশ্বের নজর গিয়ে পড়ে যায় সেদিকে। গত দু’দশক সেদেশে থাকার পর মার্কিন সেনা সরতেই নতুন করে কাবুলে ক্ষমতা কায়েম করে জেহাদিরা। তবে গত এক মাসে সরাসরি তালিবানকে কোনও দেশই সমর্থন জানায়নি। মনে করা হচ্ছে রাশিয়া, কাতার, পাকিস্তান ও চিনের মতে কয়েকটি দেশ ছাড়া বাকি বিশ্বে সম্ভবত স্বীকৃতি পাবে না তালিবান সরকার। আর তাই পাত্তা পেতে মরিয়া এবার রাষ্ট্রসংঘের দ্বারস্থ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.