সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুলভূষণ যাদব মামলার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে বড় ধাক্কা খেল পাকিস্তান। সেখানে শুনানি মুলতুবি রাখা নিয়ে পাকিস্তানের আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিল বিচারকমণ্ডলী। তাদের ‘অ্যাড হক বিচারপতি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন’, এই যুক্তিতে মঙ্গলবার মামলার শুনানি কিছু দিনের জন্য মুলতুবি রাখার আর্জি জানানো হয় পাকিস্তানের তরফে। সেখানে নতুন অ্যাড হক বিচারপতি নিয়োগের জন্য সময় চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালত তা মানতে চায়নি। ফলে সোমবার থেকে শুরু হওয়া চারদিনের শুনানি যথারীতি চলবে। এবং তা হবে পাকিস্তানের অ্যাড হক বিচারপতি ছাড়াই।
[প্রমাণ দিলে দোষীদের শাস্তি, সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগ ওড়ালেন ইমরান]
হেগ-এর পিস প্যালেসে ১৮ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি – চারদিন কুলভূষণ মামলার শুনানি চলবে। প্রথম দিন ভারত সওয়াল করেছে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের বক্তব্য শোনার কথা ছিল। সেই বক্তব্য পেশের সময়ই পাকিস্তানের তরফে শুনানি মুলতুবি রাখার আবেদন করা হয়। এদিন পাকিস্তানের তরফে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে সওয়াল করতে গিয়ে সে দেশের অ্যাটর্নি জেনারেল আনওয়ার মনসুর খান বলেন, “মামলায় অ্যাড হক বিচারপতি রাখার অধিকার পাওয়ার পর আমরা (পাকিস্তান) এক জন বিচারপতি নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু উনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাই আমাদের নতুন অ্যাড হক বিচারপতি নিয়োগের জন্য সময় দেওয়া হোক। আর সেই বিচারপতিকে সব কিছু বুঝে নেওয়ার জন্য দেওয়া হোক আরও কিছুটা সময়। সে জন্য এখনকার মতো শুনানি কিছু দিনের জন্য মুলতুবি রাখা হোক।” উল্লেখ্য, কুলভূষণ যাদব মামলায় পাকিস্তান যাঁকে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে অ্যাড হক বিচারপতি নিয়োগ করেছিল, সেই বিচারপতি তাসাদাক হুসেন জিলানি শুনানি শুরুর প্রাক-মুহূর্তে হৃদরোগে আক্রান্ত হন বলে আদালতে জানিয়েছে পাকিস্তান।
প্রথম দিনের শুনানিতে সোমবার ভারতের পক্ষে সওয়ালকারী প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল হরিশ সালভে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে বলেন, পুরো বিষয়টিই পাকিস্তানের সাজানো এবং বাস্তবসম্মত নয়। পাকিস্তান যে একে অপপ্রচারের কাজে ব্যবহার করছে তা নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। অবিলম্বে কুলভূষণকে কনসুলার অ্যাকসেস দিতে পাকিস্তান বাধ্য। ‘গুপ্তচরবৃত্তির’ অভিযোগ তুলে ভারতীয় নৌসেনার প্রাক্তন আধিকারিক কুলভূষণ যাদবকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সেনা আদালত। সেই আদেশের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে গিয়েছে ভারত। ২০১৭ সালের মে মাসে প্রথম দফার শুনানিতে আন্তর্জাতিক আদালত কুলভূষণের প্রাণদণ্ডের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে। আদালতের বিধির ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে বিচারের মামলায় কোনও পক্ষ যদি দেখে বেঞ্চে তাঁদের নিজের দেশের কোনও সদস্য নেই, তবে নির্দিষ্ট ওই মামলাটির ক্ষেত্রে একজন অ্যাড হক বিচারপতি নিয়োগ করতে পারে। কুলভূষণ মামলায় পাকিস্তান সেই সুযোগ পেয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে প্রতিটি মামলা একটি আরেকটির থেকে ভিন্নভাবে দেখা হয় এবং ‘কম্পোজিশনও’ আলাদা হয়। সেক্ষেত্রে বেঞ্চের সদস্য ১৫ হতেই হবে এমনটা নয়।
[‘শিখণ্ডি’ মাসুদকে সামনে রেখে জইশ চালাচ্ছে এই কুখ্যাত ‘মুজাহিদ’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.