সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হোলির দিন খাস দিল্লিতে (Delhi) হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন জাপানের এক মহিলা। ঘটনার পরে গোপনে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশে চলে গিয়েছেন তিনি, এমনটাই শোনা গিয়েছিল। বেশ কিছুদিন পরে মুখ খুললেন ওই জাপানি মহিলা। মেগুমি নামে ওই মহিলা জানিয়েছেন,তাঁর হেনস্তার ভিডিও প্রকাশ করতেই সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচুর হুমকির মুখে পড়তে হয় তাঁকে। ভয় পেয়ে বাধ্য হয়েই ভিডিও ডিলিট করে দেন তিনি।
শনিবার একাধিক দীর্ঘ টুইট করেন মেগুমি। দিল্লিতে হোলি (Holi) চলাকালীন নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরতে গিয়ে তিনি বলেন, “একা হোলি খেলতে গেলে মেয়েরা খুব একটা সুরক্ষিত নয়, সেটা আগেই জানতাম। তাই ৩৫জন বন্ধু মিলে খেলতে গিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও এমন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেল।।” প্রশ্ন ছিল, হেনস্তার ঘটনা কী করে ক্যামেরাবন্দি হল? মেগুমি (Japanese Woman) জানিয়েছেন, আশেপাশের কেউ ঘটনাটি দেখেছিল, তারাই ভিডিও তুলেছে। তবে যারা ভিডিও তুলেছে, তাঁদের সাহায্যেই হেনস্তার হাত থেকে মুক্তি পেয়েছেন মেগুমি।
হেনস্তার ভিডিও নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরেছিলেন মেগুমি। তার জেরে ব্যাপক হুমকির মুখে পড়তে হয় ওই জাপানি মহিলাকে। ভিডিওর মাধ্যমে গোটা ভারত-সহ হোলি উৎসবের অপমান করেছেন, এমন অভিযোগ আনা হয় মেগুমির বিরুদ্ধে। আক্রমণের মুখে পড়ে নিজের ভিডিও ডিলিট করে দেন। ক্ষমা চেয়ে বলেন, “কারোওর মধ্যে দুশ্চিন্তা ছড়িয়ে দিতে চাইনি। তাও আমার ভিডিও দেখে যদি কারও ভাবাবেগে আঘাত লাগে, তাহলে ক্ষমা চাইছি। ভারত সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচার করতে চাইনি। এই ঘটনার পরেও ভারতের সবকিছুই আমার ভাল লাগে।”
প্রসঙ্গত পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল, তিন যুবক জোর করে ওই তরুণীকে রং মাখিয়ে দেন। তরুণী অস্বস্তি বোধ করতে থাকলেও তাঁকে ছাড়া হয়নি। এমনকী তাঁর মাথায় ডিমও ফাটিয়ে দেন অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে একজন নাবালক। জেরায় নিজেদের অপরাধ স্বীকারও করেছেন তাঁরা। প্রথমে অবশ্য মেগুমির পরিচয় জানতে পারেনি স্থানীয় পুলিশ। পরে নিজেই টুইট করে সমস্ত ঘটনা তুলে ধরেন মেগুমি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.