সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্থিক অবনতি, মন্দা, এবং মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থতার যে কী হাস্যকর পরিণতি হতে পারে তার নতুন নজির তৈরি করল ভেনেজুয়েলা সরকার। আর্থিক কাঠামোর সঙ্গে সংগতিহীনভাবে নোট ছাপানোর ফলেই এই বিপত্তি। ক্ষমতায় আসার পর নয়া আর্থিক ব্যবস্থা লাগু করতে চেয়েছিল ভেনেজুয়েলার সমাজতান্ত্রিক সরকার। মূলত সমাজতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সকলের জন্য সমান অধিকার লাগু করতে গিয়েই এই সমস্যা। এর ফলে অতিমাত্রায় মুদ্রাস্ফীতির কবলে দেশের অর্থনীতি তলানিতে গিয়ে ঠেকে। এই পরিস্থিতিকে অর্থনীতিবিদরা হাইপার ইনফ্লেশন হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সামান্য খাদ্যবস্তু কিনতে হলে গুণতে হচ্চে কাড়ি কাড়ি বলিভার (ভেনেজুয়েলার মুদ্রা)। এর আগে জিম্বাবোয়েতেও এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।
ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়া কতগুলি ছবিতে দেখা যাচ্ছে সামান্য মাংস বা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনসপত্র কিনতে রীতিমতো বস্তা বস্তা টাকা নিয়ে যেতে হচ্ছে বাজারে। ২ কিলো মাংসের বদলে দিতে হচ্ছে এক কোটি ৪৬ লক্ষ বলিভার। ভারতীয় মূল্যে যার দাম হবে বড়জোর ২০০ টাকা। একটা টয়লেট পেপারের জন্য দিতে হচ্ছে এক কোটি ৬ লক্ষ বলিভার। সামান্য এক কিলো গাজরের দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি বলিভারে।
ভেনিজুয়েলায় এখন বামপন্থীদের সরকার রয়েছে। সেদেশের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর মস্তিষ্কপ্রসূত পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করতে গিয়েই অর্থনীতির এই হাল। এর মধ্যে আবার নতুন করে ন্যূনতম বেতন কাঠামো চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শ্রমিকরা ভয় পাচ্ছেন, ন্যূনতম বেতন কাঠামো চালু হলে বেসরকারি সংস্থাগুলি শ্রমিকদের বেতন দিতে পারবে না। সেই ভয়ে নিজেদের জন্য খাদ্যসামগ্রী জমিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা। ফলে দোকানবাজার গুলিতে উচ্ছ্বসিত ভিড়। এর ফলে আরও বেড়েছে জিনিসপত্রের দাম।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.