Advertisement
Advertisement

Breaking News

জানেন, আমেরিকার কোন অস্ত্রে নিকেশ ইরানের কমান্ডার সোলেমানি?

আগে থেকেই বাগদাদ বিমানবন্দরে ওঁত পেতে ছিল মৃত্যু!

How US drones find and target Qassem Soleimani in Baghdad?
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 4, 2020 11:42 am
  • Updated:January 4, 2020 11:42 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার মার্কিন হানায় নিহত হয়েছেন ইরানের ‘কাডস ফোর্স’-এর কমান্ডার জেনারেল কাশেম সোলেমানি। নিরাপত্তার প্রায় অভেদ্য ঘেরাটোপে থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এবং কোন অস্ত্রে তাঁকে নিকেশ করল আমেরিকা? উঠছে এই প্রশ্ন। এর উত্তরে উঠে এসেছে এক ঘাতক মার্কিন অস্ত্রের নাম। জানা গিয়েছে, সোলেমানিকে নিকেশ করেছে অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন ‘MQ-9 Reaper’।

একবার জ্বালানি ভরে প্রায় ১ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হামলা চলতে সক্ষম এই চালকবিহীন বিমানটি। ‘MQ-9 Reaper’ ড্রোনটির সর্বোচ্চ গতি হচ্ছে ৪৮২ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টা। এতে রয়েছে অত্যাধুনিক ইনফ্রারেড ক্যামেরা, যা রাতেও যুদ্ধক্ষেত্রের ছবি পরিষ্কার পাঠিয়ে দেয় সুদূর ঘাঁটিতে বসে থাক চালকের মনিটরে। মার্কিন বাযুসেনার এই ড্রোনটির প্রধান অস্ত্র ‘GBU-12 Paveway II’ লেসার গাইডেড বম্ব ও ‘AGM-114 Hellfire II’ ও ‘AIM-9 Sidewinder’ মিসাইল। পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছেন, সোলেমানির কনভয়ে ‘Hellfire II’ মিসাইল দিয়ে হামলা চালিয়েছিল মার্কিন ড্রোন। 

Advertisement

প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, গোটা অপারেশনের শেষ পর্যায় ছিল ড্রোন হামলা। এর আগে সোলেমানির গতিবিধির উপর কড়া নজর ছিল মার্কিন ও ইজরায়েলি গোয়েন্দাদের। এমনকী ইরানি কমান্ডারের ফোনালাপও টেপ করছিলেন তাঁরা। প্রয়োজনে নজরদারি ড্রোন উড়িয়ে সোলেমানির পিছু ধাওয়া করা হত। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসে সোলেমানিকে হত্যার চেষ্টা করে বিফল হয় ইজরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ।     

[আরও পড়ুন: বাগদাদ এয়ারপোর্টে মার্কিন বিমানহানা, মৃত ইরানের শীর্ষ সেনা কমান্ডার]

উল্লেখ্য, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সেনার মাত্র তিনটি অপারেশনাল ড্রোন ঘাঁটি রয়েছে। সেগুলি হল-আলি আল-সালেম (কুয়েত), উদেইদ এয়ারবেস (কাতার), আল দাফর (সংযুক্ত আরব অমিরশাহী)। বাগদাদ বিমানবন্দরে নিকটতম মার্কিন ড্রোন ঘাঁটি কুয়েতে। তবে সেখান থেকে বাগদাদের দূরত্ব প্রায় ৫৭০ কিলোমিটার। ফলে আগে থেকেই খবর না থাকলে হামলা চালানো সম্ভব নয়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে মনে করা হচ্ছে, সোলেমানির সঙ্গেই ছায়ার মতো ছিলেন কোনও মার্কিন গোয়েন্দা। সিরিয়া বা লেবানন থেকে ইরানি কমান্ডারকে নিয়ে বিমান ছাড়ার পরই তিনি সেই খবর পৌঁছে দেন মার্কিন সেনার কাছে। ফলে আগে থেকেই বাগদাদ বিমানবন্দরে ওঁত পেতে ছিল মার্কিন ড্রোন ‘MQ-9 Reaper’।

সব মিলিয়ে গোটা অপারেশনটি অত্যন্ত জটিল অঙ্কের মতো ধাপে ধাপে সমাধান করে মার্কিন সেনা। গোয়েন্দা খবর ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মদতে  খতম করা হয়েছে ইরানের এলিট গার্ড ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাশেম সোলেমানি-সহ ৮ জনকে।                                    

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement