সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গভীর রাতে হঠাৎই প্রবল আতঙ্কে জেগে উঠে ঘুমন্ত রিয়াধ। একের পর এক বিস্ফোরণে কানে তালা লেগে যায় বাসিন্দাদের। সক্রিয় সৌদি মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম থেকে ছুটে যায় একের পর এক মিসাইল। বিস্ফোরণে লাল হয়ে উঠে সৌদি আরবের রাজধানীর আকাশ। রবিবার রাতে এই ছিল রিয়াধের পরিস্থিতি। হাউতি বিদ্রোহীদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র মাঝ আকাশেই ধ্বংস করে দেয় আমেরিকা থেকে কেনা প্যাট্রিয়ট মিসাইল শিল্ড।
#SaudiArabia’s air defense forces intercepted two ballistic missiles launched by #Yemen’s #Houthi militia over #Riyadh || https://t.co/ftjAnYeJec pic.twitter.com/YWV2205HMQ
— Arab News (@arabnews) June 24, 2018
সৌদি সরকারি সংবাদমাধ্যম ‘এখবারিয়া টেলিভিশন’ সূত্রে খবর, রিয়াধের উপর একাধিক মিসাইল হামলা চালায় ইরান সমর্থিত হাউতি বিদ্রোহীরা। তবে ক্ষেপণাস্ত্রগুলিকে মাঝ আকাশেই নষ্ট করে দেওয়া হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর নেই। যদিও হাউতি সংবাদমাধ্যম ‘আল মাসিরা’ রিয়াধের দাবি নস্যাৎ করেছে। বিদ্রোহী সংবাদমাধ্যমটির দাবি, সৌদি রাজধানীতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আঘাত হানা হয়েছে। অভিযান সম্পূর্ণ সফল।
দীর্ঘদিন ধরেই ইয়েমেনে সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছে শিয়া সম্প্রদায়ের হাউতি বিদ্রোহীরা। তাদের সমর্থন দিচ্ছে শিয়া প্রধান দেশ ইরান। অপরদিকে ইয়েমেনের সমর্থনে লড়াই চালাচ্ছে সুন্নি প্রধান সৌদি আরব। হাউতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরবের সেনাবাহিনী। ফলে বেশ কয়েকবার রিয়াধকে লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালিয়েছে হাউতিরা। এর আগেও ইয়েমেন-আরব সীমান্তের পার্শ্ববর্তী শহর জাজান ও নাজরানে মিসাইল হামলা চালায় হাউতি যোদ্ধারা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল দখল করে হাউতি বিদ্রোহীরা। তারপরই ইয়েমেনি সরকারের সমর্থনে ওই দেশে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর যৌথবাহিনী। ফলে লড়াইয়ে জমি ফিরে পায় সরকার পক্ষ। তবে ইরানের প্রত্যক্ষ মদত থাকায় এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে হাউতিরা। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রিয়াধ-সহ একাধিক সৌদি শহরে ফের মিসাইল হামলা চালাতে পারে হাউতিরা।
[একঘরে সাম্পাওলি, নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে দল বাছবেন মেসি-মাসচারেনো]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.