Advertisement
Advertisement
চিন

‘চরবৃত্তি ও তথ্যচুরির কেন্দ্র হিউস্টনের চিনা দূতাবাস’, তোপ মার্কিন বিদেশ সচিবের

বেনজির সংঘাতের পথে চিন-আমেরিকা।

Houston's Chinese consulate hub of spying and Intellectual Property theft: Pompeo
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 24, 2020 8:28 am
  • Updated:July 24, 2020 8:28 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সংঘাতকে নয়া মাত্রা দিয়ে সম্প্রতি টেক্সাসের হিউস্টনের চিনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এবার সেই পদক্ষেপ নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও (Mike Pompeo)। তাঁর দাবি, গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্র ছিল চিনা দূতাবাসটি।

[আরও পড়ুন: হারলেও গদি না ছাড়ার ইঙ্গিত ট্রাম্পের, পোকার মতো তাড়ানো হবে, হুমকি পেলোসির]

শুক্রবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের চিনা (China) দূতাবাস সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে পম্পেও সাফ বলেন, “এই সপ্তাহেই আমরা হিউস্টনে চিনা দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। ওই জায়গাটি চরবৃত্তির ও তথ্যচুরির কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল। বিগত ৮ বছর ধরে দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসনের দিকে আমরা মুখ ফিরিয়ে ছিলাম। কিন্তু দু’সপ্তাহ আগে সেই নীতি আমরা ত্যাগ করেছি। এবার আন্তর্জাতিক আইন মেনে ওই অঞ্চলের ব্যবসা ও বাণিজ্যের স্বাধীনতা বজায় রাখব আমরা।” শুধু তাই নয়, লালফৌজের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মার্কিন বিদেশ সচিব আরও বলেন, “পিপলস লিবারেশন আর্মি সাধারণ সেনা থেকে সম্পূর্ণ আলদা। দেশের জনতাকে সুরক্ষা দেওয়া তাদের উদ্দেশ্য নয়। তাদের কাজ হচ্ছে চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশ মেনে সাম্রাজ্য বিস্তার করা। তাই চিনা আগ্রাসন রুখে দিতে আমরা একটি স্পেস ফোর্স বানিয়েছি।”

পম্পেওর আগে ফ্লোরিডার রিপাবলিকান সেনেটর মার্কো রুবিও ওই চিনা দূতাবাসকে ‘কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের মূল ঘাঁটি’ বলেছেন। তাঁর দাবি, হিউস্টনের চিনা কনসুলেট কূটনীতির জায়গা নয়, কমিউনিস্ট পার্টির বিশাল চরবৃত্তির নেটওয়ার্কের কেন্দ্র, ওরা আমেরিকায় কলকাঠি নাড়ে, প্রভাব খাটায়। মার্কিন ন্যায়বিচার দপ্তর ইতিমধ্যেই মার্কিন সংস্থা থেকে কোভিড-১৯ অতিমারী সংক্রান্ত ওষুধপত্রের গোপন নথি চুরির চেষ্টার দায়ে দুজন চিনা হ্যাকারকে অভিযুক্ত করেছে। ওই দুজনকে অভিযুক্ত করা চিনা কনসুলেট বন্ধের নির্দেশের মধ্যে যোগসূত্র থাকার কোনও ইঙ্গিত মেলেনি, তবে আমেরিকার দীর্ঘদিনের অভিযোগ, চিন হিউস্টনের দূতাবাস থেকে পুরো দেশে ঘৃণ্য কাজকর্ম চালায়।

বিশ্লেষকদের মতে, দূতাবাস বন্ধের মার্কিন ফরমান সহজে মেনে নেবে না চিন। এই মুহূর্তে বেজিং-সহ চিনে আমেরিকার পাঁচটি দূতাবাস রয়েছে। সেগুলির মধ্যে থেকে কোনও একটি দূতাবাস বন্ধরে নির্দেশ দিত পারে শি জিনপিং প্রশাসন। কয়েকদিন আগেও দু’দেশেই পরস্পরের একাধিক কুটনীতিকের ভ্রমণের উপর ভিসা সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমন অবস্থায় দূতবাস বন্ধের নির্দেশে ওয়াশিংটন ও বেজিংয়ের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও ভঙ্গুর হয়ে উঠেছে।

[আরও পড়ুন: এক রাষ্ট্র হোক ইজরায়েল-প্যালেস্টাইন, জল্পনা উসকে মন্তব্য জর্ডনের প্রধানমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement