সোহিনী সেন: রোমাঞ্চ ছাড়াও কয়েকটি ইতিবাচক দিক আছে ‘হরর মুভি’র৷ শরীর সুস্থ রাখতে এমন ছবির জুরি মেলা ভার৷ সম্প্রতি এরকম কথাই শোনাচ্ছেন ইংল্যান্ডের কভেন্ট্রি ইউনিভার্সিটির গবেষকরা৷
‘স্ট্রেস’ নামের এক জার্নালে প্রকাশিত হয় গবেষণাপত্রটি৷ গবেষকরা অন্ধকার ঘরে কয়েকজনকে বন্দি করেন৷ প্রচণ্ড ভয়ের একটি ভূতের সিনেমা দেখানো হবে বলে জানানো হয়৷ অতর্কিত ‘শক’-এর জন্য প্রস্তুত ছিলেন না কেউই৷ সিনেমা শুরুর আগে প্রত্যেকের রক্তের নমুনা নেওয়া হয়৷ বিরতি চলাকালীন দ্বিতীয়বারের জন্য দর্শকদের রক্তের নমুনা নেন গবেষকরা৷ সিনেমা শেষে ফের একবার নমুনা সংগৃহীত হয়৷ অদ্ভুতরকমভাবে শেষ নমুনাটিতে শ্বেত রক্তকণিকার পরিমাণ বেড়ে যেতে দেখা যায়৷
এটি হল সেই কণিকা, কোনও জীবাণুর আক্রমণে যা সংখ্যায় বেড়ে যায়৷ লোহিত রক্তকণিকার থেকেও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে জীবাণু প্রতিরোধে৷ অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, ভূতের সিনেমা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক শক্তি বাড়াচ্ছে৷
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের ইমিউনোলজিস্ট নাতালি রিডেল আবার খানিক অন্য কথা শোনাচ্ছেন৷ তাঁর মতে, রোমহর্ষক ভূতের সিনেমায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি অ্যাড্রেনালিন হরমোন ক্ষরিত হয়৷ এই অধিক ক্ষরণ রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়৷ শুধু তাই নয়৷ এর ফলে বেড়ে যায় হৃদস্পন্দন৷ বেড়ে যায় বিএমআর (বেসিক মেটাবলিক রেট)৷ যার মাধ্যমে শরীরে সঞ্চিত শক্তি (এনার্জি) ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে৷ এই একই ঘটনা ঘটে ফিটনেস সেন্টারগুলিতে কার্ডিও এক্সারসাইজ করার সময়ও৷ আর কে না জানে, কার্ডিও এক্সারসাইজ ওজন কমানোর সর্বোৎকৃষ্ট মাধ্যম? অর্থাৎ ভূতের সিনেমা রোগ প্রতিরোধকের সঙ্গেই ওজনও কমাতে সাহায্য করে৷ নাতালি জানাচ্ছেন, সিনেমা পিছু প্রায় ১১৩ ক্যালোরি করে ঝরানো যায়, যা ৩০ মিনিট দ্রুতবেগে হাঁটার সমান! ভাবা যায়?!
তাহলে আর দেরি কেন? এক্ষেত্রে কিন্তু ‘বিলিভ ফুল অফ হোয়াট ইউ জাস্ট রেড অ্যাবভ!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.