সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোমবার চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন হংকংয়ের প্রশাসক ক্যারি ল্যাম। স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটিতে বিগত ছ’মাস ধরে চলা বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনা হবে দু’জনের মধ্যে। এদিকে, সরকার বিরোধী আন্দোলন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে হংকংয়ে।
চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এদিন চিনের প্রিমিয়ার লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন প্রশাসক ল্যাম। বৈঠক চলাকালীন, হংকংয়ে হিংসা ও বিক্ষোভ থামানোর জন্য ল্যামকে নির্দেশ দেন কেকিয়াং। জনতার মধ্যে জমে থাকা অসন্তোষের কারণ খুঁজে বের করে সেগুলি নিয়ে কাজ করার কথাও বলেন তিনি। এদিকে, আজই বেজিংয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে চলেছেন ল্যাম। কুটনীতিবিদদের একাংশের মতে। এই দুই বৈঠকেই ল্যামের রাজনৈতিক জীবনের গতিপথ নির্ণয় হবে। হংকংয়ে বিগত মাস ছয়েক ধরে গণতন্ত্রের দাবিতে চলা বিক্ষোভ সামাল দিতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রশাসক ল্যামের উপর কম্যুনিস্ট পার্টির একাংশ অসন্তুষ্ট। ফলে শি ও কেকিয়াংয়ের ভরসা জিততে না পারলে গদি হারাতে পারেন ল্যাম।
এদিকে, বেজিংয়ে চলা বৈঠকের মাঝেই ফের প্রতিবাদে উত্তাল হংকং। রবিবার রাত থেকেই ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে শুরু করেছে পরিস্থিতি। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ শুরু করেছেন হাজার হাজার মুখোশ পরিহিত ছাত্ররা। একদহিক জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধে জড়িয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে শূন্যে গুলি ও লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। সব মিলিয়ে জিনপিং প্রশাসনের কাছে মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠেছে হংকং।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে ‘2019 Hong Kong extradition bill’ নামের একটি বিল আনে ক্যারি ল্যামের প্রশাসন৷ বিলটি আইনে পরিণত হলে অপরাধীদের চিনের হাতে সঁপে দেওয়ার ক্ষমতা চলে আসত হংকং প্রশাসনের হাতে৷ গণতন্ত্রের বারুদে এই প্রস্তাবই কার্যত স্ফুলিঙ্গের কাজ করে৷ প্রবল জনমত বিস্ফোরণ ঘটে স্বায়ত্বশাসিত প্রদেশটিতে৷ কম্যুনিস্ট চিনের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে রাস্তায় নেমে পড়েন লক্ষ লক্ষ মানুষ৷ পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে চাপে পড়ে বিলটি বাতিল করে দেয় সরকার। তবে তাতেও ফল মেলেনি। এবার গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলন করছেন শহরবাসী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.