সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হংকংয়ে কিছুতেই থামছে না গণতন্ত্রকামীদের বিক্ষোভ। মাস তিনেক ধরে কার্যত অচল শহরটি। এহেন পরিস্থিতিতে ফের বিতর্কে জড়ালেন হংকংয়ের প্রশাসক ক্যারি ল্যাম। এবার জরুরি আইন প্রয়োগ করে ফেস মাস্ক (মুখোশ) নিষিদ্ধ করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাক পরমাণু যুদ্ধে প্রাণ যাবে ১০ কোটির, মার্কিন রিপোর্টে চাঞ্চল্য]
গণবিক্ষোভ থামাতে শনিবার অর্থাৎ আজ থেকে মুখোশের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবৎ করেছে হংকং প্রশাসন। ল্যামের যুক্তি, বিক্ষোভের পরিবেশ যাতে আরও খারাপ না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু প্রশাসনিক তরফে ঘোষণা হতেই নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে ফেস মাস্ক পরেই রাস্তায় নামেন প্রতিবাদকারীরা। ল্যামের দাবি, বিক্ষোভ যে রকম হিংসাত্মক রূপ নিচ্ছে, তা রুখতে ঔপনিবেশিক আইন প্রয়োগ ছাড়া উপায় ছিল না। ১৯২২ সালের জরুরি আইন অনুযায়ী, পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে প্রশাসনিক নেতা বা নেত্রী সরাসরি কোনও আইন বলবৎ করতে পারেন। তবে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় এই আইনের ব্যবহার হয়নি।
নয়া আইন মোতাবেক আজ থেকেই আর মুখোশ পরা যাবে না। মুখে রং মেখে কোনও ধরনের প্রতিবাদ করা যাবে না। পুলিশের ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাস থেকে বাঁচতে বিক্ষোভকারীরা মুখে মাস্ক পড়ছেন। পাশাপাশি পরিচয় গোপন করতে মুখে রং মেখে নিচ্ছেন অনেকেই। ফলে বিক্ষোভকারীদের বিপাকে ফেলতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ল্যাম বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, বিতর্কিত বন্দি প্রত্যর্পণ বিল প্রত্যাহারের দাবি মিটলেও অন্যান্য দাবি না মেটা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে বলে জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীর। এবার, নির্বাচনের মাধ্যমে প্রশাসকের চয়ন ও পুলিশি জুলুমের বিরুদ্ধে তদন্তের দাবিতে সরব হয়েছেন শহরের মানুষ। তবে, গোটা বিক্ষোভকে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবেই দেখানোর চেষ্টা করছে চিন ও সরকার নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমগুলি। হংকংয়ে বিদেশি মদতপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি কাজ করছে বলে অভিযোগ বেজিংয়ের।তবে চিনের অভিযোগে কান দিতে নারাজ আন্তর্জাতিক মঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ফের পাকিস্তানে ক্ষমতা দখলের পথে সেনা! জেনারেল বাজওয়ার সিদ্ধান্তে চাঞ্চল্য]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.