Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pakistan

ফের ধর্মীয় হিংসা পাকিস্তানে, ভাঙা হল মন্দির, দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে আক্রান্ত পুরোহিতও

এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয়নি।

Hindu priest's house and temple in Pakistan's Karachi attacked। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:June 9, 2022 6:12 pm
  • Updated:June 9, 2022 6:12 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানে (Pakistan) সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ফেব্রুয়ারিতেই রাষ্ট্রসংঘের হস্তক্ষেপ দাবি করেছিল ভারতের এক সংগঠন। দাবি ছিল, ভারতের প্রতিবেশী দেশে বারবার ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটে। এই অভিযোগ যে মিথ্যে নয়, তা আবারও স্পষ্ট হল করাচির একটি ঘটনায়। বুধবার রাতে শহরের কোরাঙ্গি এলাকায় আক্রান্ত হলেন এক হিন্দু পুরোহিত। ভাঙচুর চালানো হল মন্দিরেও। 

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় ওই পুরোহিতের বাড়িতে। সেই সঙ্গে মাতা মেরির মন্দিরেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। পাকিস্তানের প্রশাসনের দাবি, এই ঘটনায় উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পাকিস্তান পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। এলাকার এক হিন্দু বাসিন্দা সঞ্জীব সাময়িক সংবাদপত্রের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে জানিয়েছেন, ওইদিন ৬ থেকে ৮ জন দুষ্কৃতী এসে হাজির হয় রাতের অন্ধকারে। মন্দিরে ভাঙচুর চালাতে থাকে তারা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: এই ছেলেই ছাত্র! ফাইল হাতড়ে রোদ্দুর রায়ের নাম খোঁজা শুরু মেদিনীপুরের কলেজের]

পাকিস্তানে হিন্দু ও শিখদের উপর নির্যাতনের ঘটনা গোটা বিশ্বের জানা। ২০১০ সালে পেশোওয়ারের বাসিন্দা যশপাল সিং নামের এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে গলা কেটে খুন করে মৌলবাদীরা। তারপর, ২০১৬ সালে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক আইনসভার সদস্যকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। তুমুল সমালোচনা হলেও হিংসার ঘটনা চলতেই থাকে। ২০১৮ সালে চরণজিৎ সিং সাগর নামের এক স্থানীয় শিখ নেতাকে গুলিকে করে হত্যা করা হয়। এই সমস্ত হামলার নেপথ্যে মুসলিম মৌলবাদীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ।

উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ধারাবাহিকভাবে ধর্মীয় হিংসার ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর প্রচুর খ্রিস্টান ও হিন্দু মেয়েকে অপহরণের পরে জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত করা হয়। তারপর মুসলিম সম্প্রদায়ের পুরুষদের সঙ্গে তাদের বিয়ে দেওয়া হয়। অভিযোগ, এই বিষয়ে সবকিছু জানা সত্ত্বেও ব্যবস্থা নেয় না প্রশাসন। সম্প্রতি ইমরান খানের প্রস্থানের পরে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন শাহবাজ শরিফ। তবুও যে এই পরিস্থিতির কোনও বদল ঘটেনি তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল সাম্প্রতিক ঘটনায়।

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এগিয়ে কে? কী বলছে সংসদ এবং রাজ্য বিধানসভাগুলির অঙ্ক?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement