Advertisement
Advertisement
Canada

মন্দিরে খলিস্তানি হামলা, পালটা দিতে ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য! কানাডায় সাসপেন্ড হিন্দু পুরোহিত

প্রশ্ন উঠছে, মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালানো খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে কেন এখনও পদক্ষেপ করল না কানাডার প্রশাসন?

Hindu priest in Canada suspended after controversial remark
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:November 7, 2024 1:29 pm
  • Updated:November 7, 2024 1:29 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানি হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা কানাডা। এহেন পরিস্থিতিতে ‘উসকানিমূলক’ মন্তব্য করার অভিযোগে ওই মন্দিরেরই এক পুরোহিতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে খবর। জানা গিয়েছে, গত রবিবার হিন্দু মন্দিরে খলিস্তানি হামলার পরে নাকি বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করেন ওই পুরোহিত। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালানো খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে কেন এখনও পদক্ষেপ করল না কানাডার প্রশাসন?

গত ৩ নভেম্বর সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে টরন্টোর কাছে ব্রাম্পটনের হিন্দু সভা মন্দিরে খলিস্তানি তাণ্ডবের ভিডিও। উল্লেখ্য, ওই মন্দির চত্বরেই একটি ক্যাম্পের আয়োজন করেছিল স্থানীয় ভারতীয় দূতাবাস। সেই ক্যাম্প চলাকালীন ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করে খলিস্তানিরা। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মন্দিরে আসা পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধর করছে হলুদ পতাকাধারী খলিস্তানি জঙ্গিরা। স্থানীয়দের দাবি, ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও তারা হামলাকারীদের বাধা দেয়নি। মন্দির চত্বরে তাণ্ডব চালায় খলিস্তানি জঙ্গিরা। মহিলা এবং শিশু-সহ হিন্দু পুণ্যার্থীদের বেধড়ক মারধরও করে তারা।

Advertisement

দীর্ঘদিন ধরেই খলিস্তানিদের মদত দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে। রবিবারের হামলার পর তিনি বলেন, মন্দিরে এমন হামলা মোটেই বরদাস্ত করা হবে না। কিন্তু হামলার পরে দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। খলিস্তানিরা হামলা চালিয়েছে, সেকথাও মানতে চায়নি স্থানীয় পুলিশ। গোটা ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত হামলা’ বলে কড়া ভাষায় নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। ভারতীয় দূতাবাসের অনুষ্ঠানে কীভাবে নিরাপত্তা ভঙ্গ হল, উঠছে সেই প্রশ্নও।

এহেন পরিস্থিতিতে শোনা যায়, খলিস্তানি হামলার পরে পালটা দিতে উসকানিমূলক মন্তব্য করেছেন হিন্দু সভা মন্দিরের পুরোহিত। তার পরেই ওই পুরোহিতকে সাসপেন্ড করে দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ। পুরোহিতের এমন আচরণের প্রবল নিন্দায় সরব হন ব্রাম্পটনের মেয়র প্যাট্রিক ব্রাউন। তাঁর কথায়, হিন্দু এবং শিখরা সম্প্রীতি বজায় রেখে বসবাস করেন। দুই সম্প্রদায়েরই উচিত হিংসার প্রসারকে রুখে দেওয়া। কেউই অশান্তি চান না। মন্দির কর্তৃপক্ষ যেভাবে পদক্ষেপ করেছে, সেটাকে আদর্শ বলেই মনে করছেন প্যাট্রিক। তবে প্রশ্ন উঠছে, হামলাকারী খলিস্তানিদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না কানাডা? সেদেশের অশান্তির আঁচ ভারতেও পড়বে কি? রয়েছে সেই আশঙ্কাও।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement