Advertisement
Advertisement

Breaking News

সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত ভারতীয় জাহাজ

নাবিকের মধ্যে ৮ জন এখনও জলদস্যুদের কবলে রয়েছেন।

Hijacked Indian cargo ship rescued, 8 crew members still missing
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 11, 2017 8:21 am
  • Updated:November 30, 2019 5:01 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অবশেষে সোমালি জলদস্যুদের কবল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ‘আল কওসর’ নামের ভারতীয় পণ্যবাহী জাহাজটিকে। এমনটাই জানিয়েছেন সোমালিয়ার প্রশাসন। রবিবার, জলদস্যু অধ্যুষিত এলাকা হবইও-র কমিশনার আবদুল্লাহী আহমেদ আলি, স্থানীয় সংবাদসংস্থাগুলিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, মার্চের ৩১ তারিখে জলদস্যুদের হাতে পণবন্দি হয় ভারতীয় জাহাজটি। তারপর ভারত মহাসাগরে ইয়েমেনের তটরেখার কাছে আটকে রাখা হয় জাহাজটিকে। তিনি আরও জানিয়েছেন, দুই নাবিক-সহ জাহাজটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে জাহাজে থাকা ১০ জন নাবিকের মধ্যে ৮ জন এখনও জলদস্যুদের কবলে রয়েছেন।

[কুলভূষণ প্রসঙ্গে বলিউডের খান হিরোরা চুপ কেন, তোপ অভিজিতের]

Advertisement

জাহাজটির মালিক ইসাক থেম জানিয়েছেন, চিনি ও গম নিয়ে দুবাই থেকে ইমেন হয়ে সোমালিয়া যাওয়ার পথে জলদস্যুদের হাতে আক্রান্ত হয় জাহাজটি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে মুক্তিপণের দাবি জানিয়েছে জলদস্যুরা। সোমালিয়া প্রশাসন সূত্রে খবর, জাহাজটি উদ্ধার করার সময় দস্যুদের সঙ্গে গুলি বিনিময় হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। ওই সময় একটি নৌকায় ৮ নাবিককে নিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা।

[মৃতদেহের পাশে বসেই খাচ্ছেন ক্রেতারা, রমরমিয়ে চলছে এই ভারতীয় রেস্তরাঁ]

এক মাসের মধ্যেই ‘আল কওসর’কে নিয়ে তিনটি জাহাজকে পণবন্দি বানিয়েছে জলদস্যুরা। ২০০৫ সাল থেকেই সোমালি জলদস্যুদের হানায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আন্তর্জাতিক এই বাণিজ্যিক পথ। তারপর থেকেই ভারত ও চিনের নৌবাহিনী-সহ একাধিক দেশ ওই এলাকায় টহল দিতে শুরু করে। এর জেরে জলদস্যুদের কিছুটা বাগে আনা গেলেও পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হয়নি। প্রসঙ্গত, মার্চের ১৩ তারিখে তেল বয়ে নিয়ে যাওয়া শ্রীলঙ্কার একটি জাহাজকে পণবন্দি বানিয়েছিল সোমালি জলদস্যুরা। তবে কয়েকদিন পরেই জাহাজটিকে মুক্তি দেয় তারা।

[তপন দত্ত হত্যা মামলায় ফের বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ হাই কোর্টের]

ওই জলদস্যুদের দাবি, সোমালিয়ার জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকারের প্রতিবাদে তারা এই পথ বেছে নিয়েছে। ২০১০-১১ সালে চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছয় জলদস্যুদের হামলা।ওই বছর প্রায় ৭৩৬ জন নাবিক ও ৩২ জাহাজকে পণবন্দি করে জলদস্যুরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement