সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উপর গোঁসা কমেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। নয়াদিল্লি হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ রপ্তানিতে সবুজ সংকেত দিতেই মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধানের মুখে শোনা গেল, ‘মোদি মহান’।
করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, যা আদতে ম্যালেরিয়ার ওষুধ কতটা কার্যকর তা নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে চিকিৎসক মহলে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের স্বাস্থ্য উপদেষ্টারাও এই ওষুধের প্রয়োগ ও কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে করোনার কিছু মামলায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন প্রয়োগে ভাল ফল মেলায় মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছে এই দাওয়াই। সদ্য দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ওষুধ বিক্রিতে রাশ টেনেছিল কেন্দ্র। প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সালফেট-সহ একাধিক ওষুধের উপর জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে আমেরিকায় ওষুধটির জোগান বন্ধ হয়ে যায়। আর তাতেই চটে লাল হয়ে যান ট্রাম্প। ভারত ওষুধ রপ্তানি না করলে প্রত্যাঘাতের হুমকিও দেন তিনি। তারপরই মঙ্গলবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়, প্যারাসিটামল ও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন রপ্তানি করা হবে। বিশেষ করে এই পরিস্থিতে ভারতীয় ওষুধের উপর নির্ভর করে রয়েছে যে সব দেশ, তাদের এই দুই অতি প্রয়োজনীয় ড্রাগ পাঠানো হবে।
এদিকে, নয়াদিল্লি ওষুধ পাঠাতে রাজি হওয়ায় সুর বদলেছেন ট্রাম্প। ‘ফক্স নিউজ’ কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে মোদিকে নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “তিনি মহান। তিনি সত্যিই খুব ভাল। আমরা প্রায় ২৯ মিলিয়ন ওষুধ কিনেছি। এর সিংহভাগই ভারত থেকে এসেছে। আমি আগেই প্রধানমন্ত্রী মোদির কাছে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের জোগান নিয়ে কথা বলেছিলাম। তিনি খুব ভাল। তবে নিজেদের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারত ওষুধটির রপ্তানি বন্ধ করেছিল। তবে এর থেকে অনেক ভাল বিষয় উঠে এসেছে।” কুটনীতিবিদের একাংশের মতে, বারাক ওবামার আমল থেকে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে গড়ে মজবুত সম্পর্কে ফাটল ধরাতে রাজি নন মোদি বা ট্রাম্প কেউই। তাই চাপানউতোর না বাড়িয়ে নয়াদিল্লি ওষুধ জোগান শুরু করেছে এবং সুর বদলে ট্রাম্পও পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.