সুকুমার সরকার, ঢাকা: “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে যৌথভাবে খুলনা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী রেল ও বাস চলাচল এবং রাধিকাপুর-বিরল রুটে পণ্যবাহী রেল চলাচলের উদ্বোধন করেছি। খালি হাতে ফিরিনি।” চার দিনের ভারত সফর শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথাই বললেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিস্তা জলবণ্টন প্রসঙ্গে হাসিনা জানান, “খালি হাতে ফিরিনি। বিদ্যুৎ-সহ অনেক প্রাপ্তি আছে। তিস্তার জলও আসবে। কেউ আটকে রাখতে পারবে না।” খালেদা জিয়াকে টেনে তাঁর মন্তব্য, “তিস্তার জল নিয়ে এখন অনেকেই কথা বলেন। কিন্তু ভারত যখন গজলডোবায় বাঁধ দিল, তখন যারা ক্ষমতায় ছিল, তখন তো কেউ কথা বলেনি।” তিস্তার জল প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। তাঁকে বলেছি, অন্য নদীর জল নিয়ে তিস্তার জল আমাদের দেওয়া হোক। এটা নিয়ে আলোচনা চলবে।”
দিল্লিতে তাঁকে আপ্পায়নের প্রশংসা করে বলেন, শুধু তাঁকে সম্মান জানানো হয়নি, বাংলাদেশকেও সম্মান জানিয়েছে ভারত। শেখ হাসিনা বলেন, “জানতামই না নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে আমায় নিতে আসবেন। তাঁকে দেখে বেশ অবাক হই।” আগামী বছর মোদিকে বাংলাদেশ সফরে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি। ব্যবসায় যৌথ বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ভারতে নিজেদের পার্টনার খুঁজে পেয়েছেন বলেও জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতীয় ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। ভারত সরকারের দেওয়া অর্থে দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি জানান, এ সফরে ব্যবসা সংক্রান্ত ১২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এ সফরের মধ্যে দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন গতির সঞ্চার করছে বলেই ধারণা হাসিনার।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর নিয়ে হতাশ ও ক্ষুব্ধ বিএনপি। এ সফরে দেশের জনগণ কিছুই পায়নি বলে মনে করছে তারা। দেশের জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করায় সরকারবিরোধী জনমত তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটির হাইকমান্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.