সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঐতিহ্যবাহী হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বিদেশি পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হার্ভার্ডের লড়াইয়ে এবার নতুন মোড়। ট্রাম্পকে আদালতে টেনে নিয়ে যাওয়ার পথে হাঁটছে হার্ভার্ড। তাঁর বিরুদ্ধে জমা পড়েছে আইনি পিটিশন।
হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট ড. অ্যালান এম গার্বের ট্রাম্পের ‘বেআইনি এবং অযৌক্তিক পদক্ষেপে’র নিন্দা করে একটি বিবৃতি পেশ করেছেন। এবং বলেছেন এমন পদক্ষেপের ফলে হার্ভার্ডের হাজার হাজার পড়ুয়া ও গবেষকদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারের মুখোমুখি হবে। তাঁর কথায়, ”আমরা সবেমাত্র একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। এবং এরপর একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশের জন্য প্রস্তাব আনা হবে। আমরা আমাদের ছাত্র এবং গবেষকদের সমর্থন করার জন্য আমাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যা করার করব।”
প্রসঙ্গত, প্যালেস্টাইনে হামলার প্রতিবাদে আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইজরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়–সহ্য হয়নি ইজরায়েল-বান্ধব ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ইহুদি বিদ্বেষের অভিযোগ তুলে প্রশাসন বেশ কিছু কঠোর নির্দেশ জারি করে। একই সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দশ দফা নির্দেশনামা পাঠানো হয়। যা পত্রপাঠ খারিজ করেছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই ধরনের সরকারি হস্তক্ষেপ তারা মানতে নারাজ। তারপরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০ কোটির অনুদান বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, শিক্ষা দপ্তরের তরফে নোটিস দিয়ে বহু বিজ্ঞানী ও গবেষককে প্রকল্পের কাজ বন্ধ করতে বলা হয়েছে। তুলে নেওয়া হয় করছাড়ের মর্যাদাও। এখানেই শেষ নয়। এবার সরাসরি ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দেওয়া হল হার্ভার্ডকে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পর প্রশ্ন উঠছে, বর্তমানে যেসব বিদেশি পড়ুয়া হার্ভার্ডে রয়েছেন তাঁদের কী হবে? তাঁদের হয়তো মাঝপথে পড়াশোনা বন্ধ করে দেশে ফিরে আসতে হবে। অথবা আমেরিকার অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে চলে যেতে হবে। এবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আদালতে গেল হার্ভার্ড। যদিও ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে এর আগেও আদালতে গিয়েছিল তারা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.