Advertisement
Advertisement

দুনিয়াজুড়ে উন্মাদনা ছড়িয়ে পটারের রাজকীয় প্রত্যাবর্তন

লন্ডনের পিকাডেলি স্ট্রিটে বইয়ের দোকানের সামনে কয়েক হাজার পটার অনুরাগীর লাইন৷

Harry Potter and the Cursed Child is warm, witty, and wildly inventive
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:August 1, 2016 12:24 pm
  • Updated:August 1, 2016 12:24 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘‘আমি আর অপেক্ষা করতে পারছি না৷ বইটা যেন দারুণ হয়৷ অ্যামাজনে বইটা অর্ডার দিয়েছি৷’- কলকাতার দেবশ্রুতি বসু, স্কুল ছাত্রী৷

“আমি খুব উত্তেজিত৷ হ্যারির নতুন অ্যাডভেঞ্চার ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য কার্সড চাইল্ড’ বইটা হাতে পেলেই ঝাঁপ দিয়ে পড়ব’’- দিল্লির আইনের ছাত্র নীলোৎপল বনশল৷

Advertisement

‘‘ভোর পাঁচটা থেকে প্রেমিকের সঙ্গে চারতলা বইয়ের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়ে রয়েছি৷ হ্যারির সঙ্গে আমি বেড়ে উঠেছি৷ ওর জন্যে আমার মনে আলাদা জায়গা৷ তাই প্রথম বইটা আমি কিনতে চাই৷’’- সিঙ্গাপুরের সামান্থা চুয়া, পরনে হ্যারির মুখ আঁকা সোয়েটার৷ বয়স ২৪৷ চুয়ার পিছনে অন্তত শ’ তিনেক লোক দাঁড়িয়ে হ্যারির বইয়ের জন্য৷

লন্ডনের পিকাডেলি স্ট্রিটে বইয়ের দোকানের সামনে কয়েক হাজার পটার অনুরাগীর লাইন৷

একই চিত্র পর্তুগালের গথিক রিভাইভাল ধাঁচের দোকানটির বাইরেও৷ শয়ে শয়ে ভক্ত একটামাত্র বইয়ের জন্য সারারাত ধরে অপেক্ষা করেছেন৷ অন্যদিকে, লন্ডনের প্যালাস থিয়েটারে ‘ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার’ হয়ে গেল ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য কার্সড চাইল্ড’ নাটকটির৷ মঞ্চস্থ হবে ব্রডওয়ে থিয়েটারেও৷
হ্যারির রাজকীয় প্রত্যাবর্তন প্রায় এক দশক পর৷

না, শুধু উন্মাদনা বললে কম বলা হবে, হ্যারির প্রথম সাতটি বইয়ের লেখিকা জে কে রাউলিংয়ের জন্মদিনে হ্যারির অষ্টম বইপ্রকাশের সময় সারাবিশ্বের সর্বত্র পটার ঢেউয়ের জোয়ার৷ হবু উইচ আর উইজার্ডদের ভিড় উপচে পড়ছে বইয়ের দোকানগুলিতে৷ রাউলিংয়ের সপ্তম বই ‘হ্যারি পটার অ্যান্ড দ্য ডেথলি হ্যালোজ’ যেখানে শেষ, অষ্টম বইটির শুরু সেখানেই৷ জে কে রাউলিংয়ের মূল গল্প ভিত্তি করে জন টিফ্যানি-সহ জ্যাক থর্ন একটি নাটক লেখেন, গল্পটি মঞ্চস্থও হয়৷ সেই নাটকটিই বই আকারে এল৷ থ্যাচেট ইন্ডিয়া নয়ডা, দিল্লির বসন্তকুঞ্জ ও গুরুগ্রামের অ্যাম্বিয়েন্স মলে প্রকাশ করল বই৷

বই অনুযায়ী, পেরিয়ে গিয়েছে আরও ১৯ বছর৷ জাদুমন্ত্রকের সব দায়িত্ব এখন হ্যারির৷ সে দায়িত্ববান স্বামী৷ স্ত্রী গিনি উয়েসলে৷ তবে হ্যারি এখনও সেই গোল চশমা পরে৷ মাথায় রয়েছে চরম শত্রু লর্ড ভলডেমর্টের ‘দাক্ষিণ্যে’ সেই গভীর ক্ষত৷ তার তিন ছেলে স্কুলে পড়ে৷ ছেলে অ্যালবাস সেভেরাসও পরিবারের অতীত আভিজাত্যের কথা ভাবে৷ এভাবেই মাগল-উইজার্ড-উইচের সঙ্গে অতীত, বর্তমান মিলেমিশে যায়৷ বাবা হ্যারির মতো ছেলে অ্যালবাসও জানে, অন্ধকার কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবেই হানা দেয়৷ তবে চাইলে সেই অন্ধকারের অন্দরেও মেলে আলোর হদিশ!

কলকাতার এক দিল্লিবাসী পটার অনুরাগী বললেন, বইটি নাটকের আকারে আসুক কি গল্প৷ হ্যারি ফিরল প্রায় দশ বছর পর৷ দিল্লির এক পটার ভক্ত চিকিৎসক বললেন, “হ্যারি মন ভাল রাখে৷ লড়াইয়ের শক্তি দেয়৷ বিশ্বাস অর্জন করতে শেখায়৷ তাই বইটা কিনতেই হবে৷”

জে কে রাউলিং ১৯৯৭ থেকে ২০০৭ সালের মধ্যে হ্যারি পটার সিরিজের সাতটি বই লিখেছেন৷ সারা বিশ্বে প্রায় ৪৫০ কোটি বই বিক্রি হয়েছে৷ অনুদিত হয়েছে ৭৯টি ভাষায়৷ তৈরি হয়েছে আটটি ব্লকব্লাস্টার ছবি৷ নতুন বই নিয়ে উৎসাহের অন্ত নেই অনুরাগীদের৷ তবে গল্পের বদলে অষ্টম বইটি নাটকের, অল্প-স্বল্প রাগ করছেন অনেকে৷ এবার অপেক্ষা, উইজার্ডদের নতুন কর্মকাণ্ডের৷ মাগলদের আর কিছু না থাক, তাদের জন্য হ্যারি পটার আছে৷

২০২৪ এর পূজা সংক্রান্ত সমস্ত খবর জানতে চোখ রাখুন আমাদের দেবীপক্ষ -এর পাতায়।

চোখ রাখুন
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement