সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গাজা থেকে হামাসকে চিরতরে মুছে ফেলার পণ করেছে ইজরায়েল। জেহাদিদের নিকেশ করতে তীব্র লড়াই করছে ইজরায়েলি ফৌজ। গাজা ভূখণ্ডে ঢুকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি। মাটির নিচে মাকড়শার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা হামাসের সুড়ঙ্গগুলোকে নিশানা করেও ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। এবার ইজরায়েলের তরফে দাবি করা হল, দীর্ঘ ১৬ বছর পর গাজার উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে হামাস জঙ্গি গোষ্ঠী।
এএফপি সূত্রে খবর, ইজরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওভ গ্যালান্ট ইজরায়েলের সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “হামাস গাজার উপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। জঙ্গিরা দক্ষিণ দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের প্রতিরক্ষাবাহিনীকে প্রতিহত করার আর কোনও ক্ষমতা তাদের হাতে নেই। গাজার সাধারণ মানুষ হামাসের ঘাঁটি লুট করছে। হামাসের শাসন বা তাদের ক্ষমতার উপর গাজাবাসীর আর কোনও আস্থা নেই।” গ্যালান্টের এই বক্তব্যের পর প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি ইহুদি দেশটির সেনার সামনে নতি স্বীকার করে নিয়েছে প্যালেস্টাইনের এই জঙ্গি গোষ্ঠী?
আগুনে ঘি ঢেলে গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের (Israel) বুকে বেনজির হামলা চালিয়েছিল হামাস। সেই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজারের উপর ইজরায়েলি। ২৪০জন ইজরায়েলিকে পণবন্দি বানায় এই সুন্নি জেহাদিরা। যার প্রত্যুত্তরে হামাসের (Hamas) বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে গাজায় অভিযান শুরু করে ইজরায়েল। তার পর থেকে ১ মাস পেরিয়েও জারি রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই রক্তক্ষয়ী লড়াই। হামাস-ইজরায়েল সংঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ হাজারের উপর প্যালেস্তিনীয়। কিন্তু হামাসের শেষ না দেখে যুদ্ধ থামাতে নারাজ ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। এই প্রেক্ষিতে ইজরায়েলের এই দাবি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
উল্লেখ্য, এই সংঘাতে শুরু থেকেই এগিয়ে রয়েছে ইজরায়েলি ফৌজ। একের পর এক শীর্ষ হামাস নেতাকে নিকেশ করেছে তারা। গাজা থেকে হামাসের নাম মুছে ফেলতে গোটা গাজা ভূ-খণ্ড জুড়ে মাটির নিচে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে থাকা হামাসের সুড়ঙ্গ নেটওয়ার্কে অভিযান চলছে। বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়া দেওয়া হচ্ছে ‘দ্য মেট্রো’র পরিকাঠামো। গতকালই খবর মিলেছিল, গাজার অন্যতম শীর্ষ নেতা আহমেদ সিয়ামকে খতম করেছে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী। এই কুখ্যাত জেহাদি গাজার র্যানটিসি হাসপাতালে রোগী ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে মোট ১০০০ জনকে বন্দি বানিয়ে রেখেছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.