সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইরানের রাজধানী তেহরানে খুন হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ। এই হত্যাকাণ্ডে অভিযোগের আঙুল উঠেছে ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে হানিয়েহ ছিলেন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণমন্ত্রী নীতীন গড়করির সঙ্গে! ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেস্কিয়ানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছিল দুজনকে।
মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নিয়েছেন পেজেস্কিয়ান। সেই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গড়করি। ছিলেন ব্রাজিল, তুরস্ক, সৌদি আরব, আর্মেনিয়া, মিশর-সহ বিভিন্ন দেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চপদস্ত আধিকারিক ও শীর্ষস্থানীয় নেতারা। এদিন সকলের সঙ্গেই মঞ্চে ছিলেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান হানিয়েহ। তার কয়েক ঘণ্টা পরেই নেমে আসে মৃত্যুর খাঁড়া। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর, তেহরানে হানিয়েহ-র বাড়িতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকটি রিপোর্ট অনুযায়ী অনুষ্ঠান শেষে হোটেলে ফিরে গুপ্তঘাতকের হাতে প্রাণ দিয়েছেন হানিয়েহ।
বিশ্লেষকদের মতে, হানিয়েহকে যদি মোসাদই হত্যা করে থাকে তাহলে তার নীল নকশা আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বহুদিন ধরে নজর রাখা হয়েছিল হামাস নেতার গতিবিধির উপর। একইভাবে হয়তো নজর ছিল গড়করি-সহ তেহরানে আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিদের উপরও। তাঁদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই এই অপারেশনের ছক কষা হয়। কোনও বিদেশি অতিথি আহত হলে তা ইজরায়েলের জন্য কূটনৈতিক দুঃস্বপ্ন হয়ে দাঁড়াত। তবে এই ঘটনার পর তেড়েফুঁড়ে উঠেছে ইরান। তেল আভিভের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তেহরান।
গত ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের বুকে ভয়ংকর হামলা চালায় প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস। সেই হামলার নীল নকশা নাকি তৈরি হয়েছিল হানিয়েহ-র বাড়িতে। তার পর থেকেই তেল আভিভের ‘হিট লিস্টে’ ছিলেন এই হামাস নেতা। ইজরায়েলি সেনার হামলায় প্রাণ হারিয়েছে হানিয়েহ-র ৩ ছেলে-সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে আমেরিকার বিরুদ্ধেও। কিন্তু সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করেছে ওয়াশিংটন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.