সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও গাজায় চলছে হামাস বনাম ইজরায়েল রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। মৃত্যুমিছিল জারি রয়েছে প্যালেস্তিনীয়দের। আর এই এতগুলো মাস ধরে গাজায় হামায় ডেরায় বন্দি রয়েছেন ইজরায়েলের শতাধিক মানুষ। কবে তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারবেন না? এনিয়ে উদ্বিগ্ন আন্তর্জাতিক মহল। বন্দিদের মুক্তি নিয়ে হামাস ও ইজরায়েলের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা হয়নি। কিন্তু তার কোনও ইতিবাচক ফল মেলেনি। কিন্তু এবার পণবন্দির ঘরে ফেরা আমেরিকার মেনে বৈঠকে বসতে রাজি হামাস। কিন্তু শর্ত বেঁধে দিয়েছে প্যালেস্টাইনের জঙ্গি সংগঠন হামাস।
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন হাজার হাজার ইজরায়েলি। গাজা যুদ্ধ ও পণবন্দিদের দ্রুত মুক্তির দাবিতেই তাঁদের এই বিক্ষোভ। আজকের এই পরিস্থিতির জন্য সকলেই দায়ী করছেন নেতানিয়াহুকে। গত দুমাসে বেশ কয়েকজন পণবন্দির দেহ উদ্ধার করেছে ইজরায়েলি বাহিনী। ফলে যতদিন যাচ্ছে ক্ষোভ বাড়ছে ইজরায়েলের অন্দরে। এই পরিস্থিতিতে জুন মাসে বন্দিদের মুক্তি নিয়ে প্রায় হামাসকে একটি প্রস্তাব দিয়েছিল আমেরিকা। ১৬ দিন পর তার উত্তর দিয়েছে হামাস। রয়টার্স সূত্রে খবর, জঙ্গি সংগঠনটির শনিবার জানানো হয়, আমেরিকার প্রস্তাবে তারা রাজি। ইজরায়েলের সঙ্গে বৈঠকে বসবে তারা।
তবে বৈঠক শেষে চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্রে একটি শর্ত দিয়েছে হামাস। তাদের দাবি, ইজরায়েলকে প্রথমে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পথে যেতে হবে। লক্ষ্যপুরণের জন্য ছয় সপ্তাহ জুড়ে আলোচনার অনুমতি দিতে হবে। প্যালেস্টাইনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইজরায়েল যদি এই প্রস্তাবে রাজি হয় তাহলে এই যুদ্ধ থামতে পারে। বলে রাখা ভালো, ইজরায়েলি অভিযানে গাজায় মৃতের সংখ্যা ৩৭ হাজার পেরিয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসেই ৬ সদস্যের যুদ্ধকালীন মন্ত্রক ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন নেতানিয়াহু। এমনটা যে হবে তার আভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল। কারণ তার আগেই এই মন্ত্রক থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন যুদ্ধকালীন মন্ত্রী বেনি গানৎজ। এই পদক্ষেপের জন্য দুষেছিলেন নেতানিয়াহুকেই। ফলে নিজের দেশেই চাপ বাড়ছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর। তীব্র হচ্ছে অন্তর্কলহ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.