সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একদিকে জম্মু-কাশ্মীরে জঙ্গি নিধনে কোমর বেঁধে নেমেছে ভারতীয় সেনা৷ উপত্যকায় এখন কার্যত মাটি হারাতে বসেছে সন্ত্রাসীরা৷ তখন তাদের উজ্জীবিত করতে ধর্মের বাণী আওড়াতে শোনা গেল মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড তথা জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবা ও জামাত-উদ-দওয়ার প্রধান হাফিজ সইদকে৷ ‘আল্লা’র নাম করে উস্কানি দেওয়ার মাধ্যমে জঙ্গিদের ঘুরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিতে শোনা গেল এই রাষ্ট্রসংঘের কালো তালিকাভুক্ত জঙ্গিকে৷ তাও আবার স্টেডিয়াম ভরতি লোকের মধ্যে, জোর গলায়৷ যাতে আরও একবার প্রমাণিত হল, সত্যিই সন্ত্রাসবাদীদের কাছে ‘স্বর্গরাজ্য’ পাকিস্তান৷
[পরপর বিস্ফোরণ রিয়াধের আকাশে, একের পর এক ছুটল সৌদি মিসাইল]
আসন্ন পাক সাধারণ নির্বাচনে লড়াইয়ের অনুমতি না মেলায়, কার্যত বাধ্য হয়েই একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে অলিখিত জোট করেছে জামাতের রাজনৈতিক সংগঠন মিল্লি মুসলিম লিগ৷ তাদের ব্যানারেই পছন্দের জঙ্গি নেতাদের নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নামিয়েছে জামাত৷ যাদের পিছন থেকে মদত দিচ্ছে জঙ্গি হাফিজ সইদ৷ জঙ্গি প্রার্থীদের হয়ে একাধিক পার্টি অফিস উদ্বোধন করতে দেখা যাচ্ছে তাকে৷ চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঢালাও ক্যাম্পেনও৷ এবার আরও একদম এগিয়ে প্রকাশ্য জনসভা করতে দেখা গেল সইদকে৷ সেখানে ভারত ও কাশ্মীরের বিষয়ে কার্যত বিষোদ্গার করল এই শীর্ষ জঙ্গি নেতা৷ সেনার মারে একঘরে হয়ে যাওয়া কাশ্মীরি জঙ্গিদের ঘুরে দাঁড়ানোর উস্কানি দিতে শোনা গেল তাকে৷ আল্লা’র নাম করে সইদকে বলতে শোনা গেল, কাশ্মীরে নাকি একটা নতুন যুগের সূচনা হয়েছে৷ এই পথেই স্বাধীনতা পাবে উপত্যকা৷ যে জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারতীয় সেনার গুলিতে প্রাণ দিয়েছে তারা প্রত্যেকে নাকি আল্লার আশীর্বাদ ধন্য৷
[পাক নির্বাচনে জয়ের লক্ষ্যে রণকৌশল চূড়ান্ত করছে জঙ্গি হাফিজ সইদ]
লাহোরের গদ্দাফি স্টেডিয়ামে জঙ্গি হাফিজ সইদের এই ঝাঁজাল বক্তব্যকে অপ্রত্যাশিত বলছেন না নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা৷ তাঁদের মতে, কাশ্মীরে যেভাবে অভিযানে নেমেছে সেনা, তাতে কার্যত সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে গিয়েছে৷ যা অনেকটাই চিন্তায় ফেলেছে সইদকে৷ কারণ, সীমান্তের ওপাড় থেকে উপত্যকায় আত্মগোপন করে থাকা জঙ্গিদের এখন আর কোনও ভাবেই সাহায্য করতে পারছে না জামাত ও লস্কর৷ ফলে আল্লা’র নাম করে উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমেই এখন তাদের প্রতিহত করার বার্তা দিতে চাইছে এই ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি৷ এই সভা ঘিয়ে তৈরি হয়েছে একাধিক প্রশ্ন৷ অনেকেই বলছেন, একটা ভরা স্টেডিয়ামে কেমন ভাবে একজন জঙ্গি প্রকাশ্য সভা করতে পারে? কোন যুক্তিতে সইদকে জনসভা করার অনুমতি দিল পাক প্রশাসন? আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের কার্যকলাপ বিশ্বের দরবারে আরও স্পষ্ট করবে সন্ত্রাস ইস্যুতে পাকিস্তানের অবস্থানকে৷ আরও একঘরে করবে ইসলামাবাদকে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.