সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের অর্থ সাহায্য করার অপরাধে মাত্র ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হল কুখ্যাত সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সইদকে। আজ পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন আদালত এই ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক মহলের মতে, বিশ্বের চোখে ফের ধুলো দিতেই আদালতের এই ঘোষণা। ৫ বছর কারাবাসে পাঠানোর আড়ালে আসলে হাফিজ সইদের নিরাপত্তাই বাড়ানো হল। ২৬/১১ মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের এই শাস্তি কটাক্ষের চোখে দেখছে ভারত।
A Pakistan court convicts Jamat-ud-Dawa chief (JuD) Hafiz Saeed for 5 years in terror financing cases. (file pic) pic.twitter.com/NeokVilX4p
— ANI (@ANI) February 12, 2020
পাকিস্তানে নিষিদ্ধ সংগঠন জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদের নামে অন্তত ২৩ টি মামলা চলছে। পাক পাঞ্জাব প্রদেশের সন্ত্রাসদমন বিভাগ তার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের আর্থিকভাবে সাহায্যের অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিল। তার ভিত্তিতে এদিনের শুনানিতে সন্ত্রাসদমন আদালত আজ এই রায় শুনিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ২০১৭ সালে পাকিস্তান হাফিজ এবং তার চার সহযোগীকে আটক করে। তবে মাত্র ১১ মাস পর নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। সেই থেকে পাকিস্তানের মাটিতে তাকে অবাধে ঘুরে বেড়াতেই দেখা গিয়েছে। শুধু তাইই নয়, ভারতবিরোধী একাধিক সভা, সমিতিও করতে দেখা গিয়েছে সইদকে।
মাস ছয় আগে হাফিজ সইদের পাশে দাঁড়িয়ে দেড় লক্ষ টাকা সংগ্রহ করতে দেওয়ার আবেদন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের দ্বারস্থ হয় পাকিস্তান। নিষেধাজ্ঞা জারির পর নিরাপত্তা পরিষদের যে কমিটি জঙ্গিদের উপর নজর রাখে তাদের একটি চিঠি পাঠায়। তাতে ইমরানের সরকারের তরফে উল্লেখ করা হয়েছে যে হাফিজের উপর তার পরিবারের চারজন সদস্য নির্ভরশীল। তাদের দৈনন্দিন খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস জোগাড়ের দায়িত্ব হাফিজ সইদের উপরেই। তাই টাকা তুলতে না দেওয়া হলে ওই সদস্যদের জীবনধারণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে।
এহেন আবেদনেই ফের নিজের প্রকৃত চেহারা দেখিয়েছিল পাকিস্তান। বুঝিয়েছিল, শত আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করেও তারা সন্ত্রাসে মদতকারীদের পাশে থাকতে দ্বিধাবোধ করে না। সেখান থেকে আজকের এই শাস্তিদান আসলে যে স্রেফ ভাঁওতা, তেমনটাই মনে করছে আন্তর্জাতিক মহলের একটা বড় অংশ। একমত ভারতও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.