সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারের রহস্যমৃত্যু৷ কীভাবে মারা গেলেন ওই ইঞ্জিনিয়ার, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা৷ খুন নাকি আত্মহত্যা? নাকি শারীরিক অসুস্থতার জেরেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত ঘটনার কিনারা করা সম্ভব নয় বলেই দাবি তদন্তকারীদের৷
নিহত ইঞ্জিনিয়ারের নাম স্কট ক্রুলিক৷ ম্যানহাটনসে ছোট থেকে বেড়ে ওঠা তাঁর৷ পিটসবার্গের কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি থেকে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন স্কট৷ চলতি বছরের আগস্টেই সার্চ ইঞ্জিন গুগলে চাকরি পান৷ লিংকডেন প্রোফাইলের সূত্রে এমনই তথ্য এসেছে পুলিশের হাতে৷ নিউ ইয়র্কে গুগলে হেড কোয়ার্টারে কাজ করতেন তিনি৷ ষষ্ঠ তলেই ছিল তাঁর কেবিন৷ বছর বাইশের স্কট অল্পদিনের মধ্যেই অফিসে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন৷ অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও অফিসে কাজ করছিলেন তিনি৷ আচমকাই স্থানীয় সময় রাত ন’টা নাগাদ এক সহকর্মী তাঁর কেবিনে ঢোকেন৷ অবাক হয়ে যান তিনি৷ ওই সহকর্মী দেখেন, অচৈতন্য অবস্থায় কেবিনে পড়ে রয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার৷ তড়িঘড়ি অফিসে থাকা অন্যান্য সহকর্মীদের খবর দেন তিনি৷ সংজ্ঞাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই ইঞ্জিনিয়ারকে৷ প্রাথমিক চিকিৎসাও শুরু হয়৷ কিন্তু চিকিৎসায় সাড়া মেলেনি স্কটের৷ গুগল ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলেই জানান চিকিৎসকরা৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়৷ গুগল ইঞ্জিনিয়ারের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে৷
স্কটের রহস্যমৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ৷ অফিসের কেবিনে বসেই কীভাবে মারা গেলেন তিনি, তা নিয়েই ধন্দে তদন্তকারীরা৷ মানসিক অবসাদে আত্মহত্যা করেছেন স্কট নাকি খুন করা হয়েছে তাঁকে কিংবা শারীরিক অসুস্থতায় মৃত্যু, কোনও আশঙ্কাই উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ৷ নিহত গুগল ইঞ্জিনিয়ারের সহকর্মীরা যদিও মানসিক অবসাদের কথা মানতে নারাজ৷ তাঁদের দাবি, প্রাণচঞ্চল ছিলেন বছর বাইশের স্কট৷ কোনওদিনই তাঁকে দেখে বোঝা যায়নি যে মানসিক অবসাদে ভুগছেন ওই ইঞ্জিনিয়ার৷ স্কটের কোনও শারীরিক অসুস্থতা ছিল বলেও জানতেন না গুগল কর্তৃপক্ষ৷ তাঁর আত্মীয়-পরিজনদের সঙ্গেও কথা বলছেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত নিশ্চিত করে কিছুই বলতে পারছেন না তদন্তকারীরা৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.